রাতের শেষ প্রান্তে, বৈরুতের আগুনে পুড়ে যায় সাদা পতাকা, শুকরের রুমাল হাতে বিবেকের পাঁচিলে দাঁড়িয়ে থাকে রুমাল চোর, তার চোখে আগুন—তার পেছনে বাদুড়ের কালো ছায়া, কাকের সুরে বাজে হারমোনিকা, যেন জীবনের করুণ আর্তি।
টিনের চশমায় বুলেট পাখির ডানা ঝাপটায়, তোমার আকাশে উড়ে বেড়ায় কোকিলের অমোঘ গান, হাতে তার এক পতনের কুশপুত্তলিকা, রক্তমাখা সাঁতাল ভোরের পথে সূর্যের নিঃশব্দ বিদায়।
ওদিকে, ক্ষুধার্ত শিশুদের দল, ন্যাংটো নারীর দুধ কামড়ে নেয়, ডাস্টবিনের পাশে শুয়ে থাকা কুমারী মাতা কাঁদছে, তার যিশু হারিয়েছে আলোর পথে, চামচে শেষ নৈশভোজ, সেখানে সভ্যতা খুঁজে ফেরে বিবেক।
আলোর চোখে বাঁধা সকাল, সিঁদ কেটে ঢুকে আসে যুদ্ধের নিস্তব্ধতা, বুটের তালে ফুল্কিকাননের মৃত্যু— পড়ে থাকে রক্তমাখা শোকের প্রতিধ্বনি।
মধুবালার প্রেমও আজ যেনো শুধুই ছলনা, বৈরুতের অগ্নিগর্ভ বুকে দাঁড়িয়ে কেউ আর গান গায় না, রুমাল চোরের রক্তাক্ত হাতে যিশুর শেষ নৈশভোজ— বিশ্ব বিবেকের ছিন্নভিন্ন অস্তিত্বের মাঝে সূর্যের হারানো যোনীপথ।