কাজের খোঁজে
একশ টাকা রোজে
মিছিল দিতে শহরে দিলাম পাড়ি,
আমাদের স্লোগানে
গর্জনে গর্জনে
আকাশ বাতাস ভারী।
জানিনাতো কার
মিছিলের দরকার
টাকাটাই শুধু জানি,
টাকাটা পেলে
নিয়ে মেয়ে ছেলে
তিন দিন পরে হবে পেট পুরে খানি।
ট্রাক বাস ট্রামে
ভিজে নোনা ঘামে
শহরে পৌঁছে যাই,
আজব শহর
ঘর আর ঘর
কোথাও সবুজ নাই।
পুলিশের বাঁধায়
সামনে এগুনো দায়,
ধুলিতে আধাঁর পুলিশের বুটে,
রাইফেল কাঁধে
লাল শালু বেঁধে
সোজা গুলি ছোটে।
রব উঠে হই হই
কলরবে রই রই
পেছন থেকে কিছুই যায়না বুঝা,
হঠাৎ নজরে আসে,
রক্তে সারা শরীর যাচ্ছে ভেসে,
জানিনা কার গুলি, লেগেছে এসে সোজা।
কিছুই যায়না ভাবা
কমজোরী থাবা
শরীরে বিস্তার করে,
পিচ ঢালা পথ
রক্তে মহরত
চলেছি আমি কারো কাঁধেতে চড়ে।
স্লোগানে মোখর
ধর ধর ধর
রক্ত বুকেতে নাচে,
জানেনাতো বউ
বলেনিতো কেউ
ও তোর কপাল ভেঙ্গেযে গেছে।
চোখ বুজে আসে
মাতব্বর হাসে
বৌয়ের দিকে তার চোখ,
কেমনে যাব বড়ি
ভাবতে না পারি
অজানা আশঙ্কায় ধুরু ধুরু বুক।
হাসপাতালের করিডর জুড়ে,
আমার লাশ আছে পড়ে,
কেউত চেনেনা আমায়,
ঝাঁঝরা বুক
বিকৃত মুখ
নাম ধাম লেখা নেই জামায়।
আমার লাশ
হয় বেওয়ারিশ
এই ছিল ভালে,
আমার কি দোষ
বুভুক্ষা মানুষ
ছানি নেই চালে।
রাত দিন খাটি
রোজে কাটি মাটি
কাজ নেই তাই,
কিছু টাকা পেলে
তাই দলে দলে
মিছিলেতে যাই।
জীবন এমনি করে
কত আর যাবে ঝরে
কাহাকে সুধাই?
যত আছে ঢের
সব টাকা ওলাদের
গরীবের কেউ দেশে নাই।