এক একটা মুহূর্তকে আমি তীব্র আবেগের সাথে অনুভব করেছি। চারপাশে শতশত মানুষ, তবুও কেন জানিনা , ভীষণ একা।
মরুভুমির মরিচিকার মত এ জীবন। এই বুঝি একটু শান্তি, ক্ষণিক বাদেই যেমন কার তেমন।
Emotions গুলো আমাদের হাতের মুঠোয় থাকেনা। তাই বোধহয় , আমি বাইরে থেকে কংক্রিটের মত অথচ ভেতর থেকে এখনও সদ্যজাত শিশু।
দূরে আরও দূরে সরিয়ে দিচ্ছি নিজেকে, ক্রমশ। খাতায় আঁকিবুঁকি কাটলেও, আর আগের মত কবিতা লিখিনা। বেঁচে থাকার জন্য কাজ করতে হয় , তাই করি নাম মাত্র।
আমার জ্বর আসতো, এখনও আসে। এখনও বৃষ্টিতে ভিজলে সর্দি হয়। মেঝেতে বসে এখনও আঁকি। এখনও একাপথে হাঁটি। আস্কারায় ার নিজের গা ভাসাইনা। সবার সামনে উজার করে দেইনা আর নিজেকে।
দূরে কোথাও ঘুরে আসতে বলেছিল বন্ধুরা, কদিন আগেই ঘুরে এলাম।
কিন্তু তবুও কেনো জানি না, সব কিছু যেখানে শুরু হয়েছিল, সেখানেই থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল। " আমার" পরিবর্তন হয়নি, শুধু বদলে ফেলেছি আমাদের।
নিশাচরের মত দিনে ঘুমোই রাতে জাগি,
আবেগেই ভেসেছিলাম, এখনও আবেগেই ভাসি।
কখনও সময় পেলে অনুভব করো, আমার হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন শুনতে পাবে। কংক্রিটের দেওয়ালের প্রতিটি অক্ষর এখনও একইরকম আছে।
এক একটা মানুষ , এক একটা স্বপ্নকে সঙ্গী করে বাঁচে। আমারও অনেক স্বপ্ন ছিলো।
এখন শুধু বসে বসে ভাবি-
" দুঃসময়য়ের পর আসুক একটা নতুন সকাল। তীব্র কীরণে চুড়মাড় করে দিক এই কংক্রিটের দেওয়াল। ঝিলমিলিয়ে কিরণগুলো আনুক আবার নতুন খুশির প্রহর।"