সারা শরীর করছে ব্যথা
মাথায় তিব্র যন্ত্রণা,
তবু বলছি এখন প্রেমের
কাব্য লেখার সময় না।
জ্বরে আমার চোখ জ্বলছে
যন্ত্রণায় আমার হৃদয় পুড়ছে,
তবু বলছি এখন প্রেমের
কাব্য লেখার সময় না।
মা বললেন 'শব্দ দিয়ে প্রতিবাদ করো
এখন বোবা থাকার সময় না,
তাই বলছি এখন প্রেমের
কাব্য লেখার সময় না।
তাই বলছি এখন প্রেমিকা নিয়ে
ঐ টিএসসির মোড়ে বসে—
পছন্দের চা খাওয়ার সময় না,
আর চুড়ি কিনে ঘরে ফিরে
গা ঘেষানো কাম-প্রেম বাসনা না,
এখন সময় প্রতিবাদ করার
বোবাদের জন্য দেশ প্রেম না।
বাংলার আকাশ প্রতিবাদে লাল
অনেকে হয়েছে শহিদ ষোলই জুলাই,
তাই বলছি এখন প্রেমের
কাব্য লেখার সময় না।
প্রিয় প্রেমিকারা তোমার বাবা বা ভাইকে বলো
তারাও যেন রাজপথে নেমে আসে,
সত্যিই যদি সোনার বাংলাকে ভালোবাসে।
“তিমির রাত্রি, মাতৃমন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান!
যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান!
কবি নজরুলে কয়,
তাই বলছি যুদ্ধে যাওয়ার সময় হয়েছে
এই আন্দোলন মিথ্যে নয়।
প্রিয় প্রেমিকা 'যদি সত্যি হয় ঐ আকাশ
যদি সত্যি হয় ঐ আকাশের চাঁদ,
যদি সত্যিই ভালোবাসো আমাকে বা তোমাকে
তবে আজই আসতে হবে নেমে রাজপথে।
এখানে বাংলার সূর্য সন্তানেরা লড়ছে—
অন্যায়ের বিরুদ্ধে,
এই আন্দোলন অযুত নিযুত ছাত্র ছাত্রীদের,
তারা স্বপ্ন দেখছে সুন্দর একটি সকালের—
এবং আঁধার পেরিয়ে নতুন সূর্য উঠবে,
সে আলোতে আগামী বাংলাদেশ হাসবে।
জ্বরে আমার চোখ জ্বলছে
যন্ত্রণায় আমার হৃদয় পুড়ছে,
তবু বলছি এখন প্রেমের
কাব্য লেখার সময় না।
আগুন নেভাতে আগুন হতে হবে,
আগুনে না পুড়লে সোনার মানুষ রবে?
সোনার অলঙ্কার যতই হোক খাঁটি—
তাকে পুড়িয়াই পরিচয় দিতে হয় সোনা নাকি মাটি,
তাই বলছি এখন প্রেমের
কাব্য লেখার সময় না,
সারা শরীর করছে ব্যথা
মাথায় তিব্র যন্ত্রণা।
দেখি নাই বায়ান্ন
দেখি নাই একাত্তর
দেখি নাই স্বৈরাচারের নয় বছরের শাসন
দেখি নাই পচাত্তর,
তবে কি দেখবো না চব্বিশের জয়?
কত আর ঝরবে প্রাণ
হবে বাঙালিরা ক্ষয়!
এই আন্দোলন মিথ্যে নয়
সত্যের হোক জয়।