গরীব ধনীর ভেদাভেদ ভুলে
নামাজ আদায় করি সবাই ঈদগাহে,
কোরমা পোলাও খেয়ে ঘুরি বন্ধুদের সঙ্গে
হাসি মুখে কেটে যায় পেয়ে ইদ সেলামি
অপেক্ষায় থাকি কবে আসবে আবার এইদিন।
নেই আনন্দ শুধু চিন্তা আর ভাবনা
এই বুঝি মরণব্যাধি করোনার ছোবলে পড়ি,
আম্ফানে ধ্বংস কৃষকের সোনার ফসল আর জমি
মরণব্যাধি করোনা কেড়ে নিয়েছে সুখ
কতজন হারিয়েছে তাদের প্রিয় মুখ।
বন্দি ঘরে যে ইদ পালন করেছি
ইদ নয় মরণব্যাধি করোনা তার নাম রেখেছি,
এমন ইদ আর চাই না
নেই আনন্দ শুধু চিন্তা আর ভাবনা
না না এমন ইদ আর চাই না।
-২
আকাশে চাঁদ উঠেছিল ভাই, নতুন জামা পরেছে সবাই।
দিয়েছে কুরবানি গোরু কিংবা খাসি, নেই শুধু হৃদয়ে হাসি।
না না এমন ইদ আর চাই না ভাই, যেখানে দূরত্ব বলতে মানবতা হারায়।
দেখেছি দু’চোখে ঘুরে এই শহরে, পশু জবাই হতে দেরি
বলে ঘরে নেয় তাড়াতাড়ি, কেউ বা আবার দান করে দু’তিন টুকরো।
হায়, ইব্রাহিম নবি কুরবানি দিয়েছে তার প্রিয় ধন,
আমরা দেই কুরবানি লোক দেখানো বুঝি তার কারণ?
আজ দেখি ত্যাগে নয় ভোগে সবাই ব্যস্ত! তুমি শুদ্ধ হও মন।
ছেলে মেয়ের মুখে দিতে গোস্তো, পোলাও, সেমাই
গায়ে খেটে একদিনের জন্য আজ অনেকে হয়েছে কসাই,
ইদের নামাজ শেষে সকাল হতে গোরু কেটে-
পেয়েছে আট শত টাকা, বউ বলে গোস্তো কোথায়?
কালু মিয়ার মুখে নেই হাসি, বলে আমার কি করার সাহেবরা যদি না দেয় ভাই।
এই মহামারিতে থেমে কি আছে খাওয়া দাওয়া? নানা বাহারের খাবার,
সাহায্যের সময় ক্যান এতো ফর্মালিটি! মেরে খায় কারা গরীবের আহার।