কেউ কেউ কলম ধরে নামকাওয়াস্তে
কেউবা ঝোঁকের মাথায় মুগুর মেরে
আবার কেউ কেউ সখ্যতার সখে।
আমি কলম ধরি অন্য কারণে --
আমার যখন খুব খিদে পায়
যখন সঙ্গে কেউই থাকে না
আমি যখন গভীর শোকাচ্ছন্ন
অথবা উদ্দাম প্রেমে ভাসছি,
তখন কিছু কথা মাথায় কিলবিল করে
আমাকে খামচে খামচে রক্তাক্ত করে
আমারও খুব রাগ হয় আগুনের ন্যায়,
তখন পছন্দের ছন্দ ভেঙে শব্দ ওঠে জেগে
তোমাদের মসৃণ জীবনের বৈভবের দরজায়
ভদ্রবেশী শয়তানের মুখোশ ধরে টান মারি
তোমরা দেখেও যে না দেখার ভান করো।
তখন আমি হেঁটে চলেছি পেটের জ্বালায়
তোমাদেরই জন্য খাবার সরবরাহের কাজে,
আমার বাড়ির মেয়েটি দিনরাত টিউশনি করে
যেদিন বাড়ি না ফিরে আকাঙ্খার আগুনে পোড়ে
যখন আমার উত্তরসূরি শিক্ষাকে ত্যাগ করে
হাতে রাইফেল নিয়ে পার্টির জন্য লড়ে,
তখন আমি না পারি কাঁদতে, না পারি হাসতে
আমি কিছুতেই এই নিয়মের বদল আনতে পারি না
সামান্য এই চাহিদাটুকু আমাকে বিদ্রুপ করে।
আমি এবং আমার ছন্দহীন কবিতা
হুইস্কির জলে স্নান সেরে বিবস্ত্র হয়ে
উন্মাদ হয়ে ছুটে বেড়াই অনবরত
তোমরা ঘেন্নায় উড়িয়ে দাও আমার কবিতা
আমার প্রলাপ, আমাকে দেখাও রক্তচক্ষু
অথচ এই সিস্টেমের পরিবর্তন চাও না !
-- কেন চাও না? তার জবাব তোমাদের জানা নেই?
তখন ধরি কলম আর নিজেকে পোড়াই!