(কথোপকথন)
-- আজ অনেক দিন পর তোমাকে কাছে পেলাম। কিন্তু তোমার চোখের ভাষা পড়তে পারলাম না!
-- চোখের ভাষা পড়তে হলে, আগে মনটা বুঝতে হয়। আর মনটাকে ছুঁতে গেলে সময়ের ভালে সংকল্পের ছবি আঁকতে হয় মশাই।
-- ছবি এঁকেছিলাম চর্চিত প্রেমালাপে। আজ পট গেছে ঘুরে। তুমি আর সেই তুমি নেই।
-- কে আমি?
-- তুমি দেবী।
-- সরস্বতী?
-- না।
-- তবে?
-- মূর্তিমতি লক্ষ্মী।
-- কেন?
-- আমার শ্রীবৃদ্ধি লাভ হয়েছে। তাইতো সকাল-সন্ধ্যা তোমার পূজা করছি। সেবা করছি।
-- হাসি পায় তোমার কথা শুনে।
-- হাসতে মন চাইলে হাসো। আমরা সবাই মনের দাস।
-- পূজারী ব্রাহ্মণ পূজা করে কিছু দক্ষিণা পাওয়ার আশায়। জজমান পূজা করে প্রসাদের আশায়। আর তুমি পূজা করো বৈরাগ্য থেকে মুক্তি পেতে।
-- কি করে বুঝলে?
-- এই যে তুমি আমার এতো কাছে আছো অথচ আমার সঙ্গলাভে তুমি কি পরিতৃপ্ত? মুখে না বললেও, সে কি আমি বুঝি না!
-- অহেতুক অভিশঙ্কা তোমার।
-- অহেতুক নয় আচার্য্য। উত্তরসূরি আসার সংবাদ তোমায় চঞ্চল করে তুলেছে।
-- একথা ঠিক আমি চঞ্চল। আমার চঞ্চলতা তোমার মনের শামিয়ানা। কি হলো...চুপ কেন! তোমার মনের কথা পড়তে পেরেছি?
-- তুমি ফাগুনের ফাগ।
-- তুমি যে অনুরাগ।