(কথোপকথন)
-- হ্যালো, কেমন আছো মিতালী?
-- তুমি যেমন রেখে গেলে তেমনিই আছি। রাজপ্রাসাদ, ঝি-চাকর, ডাক্তার-মোক্তার, পাত্র-মিত্র সবাইকে নিয়ে বেশ আছি। কোন অসুবিধা নেই। তুমি ঠিক আছো তো?
-- আমি যে আছি, সেটাই ভুলে যাই। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমার কথা ভাবার কেউ নেই!
-- ডাকাত কোথাকার।
-- কেন! আমি কখন ডাকাতি করলাম?
-- করোনি বুঝি! আমার সোনার রঙ পুড়ে তামাটে হয়েছে - সে শুধু তোমার জন্য। সুদে-আসলে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে তোমার গচ্ছিত সম্পদ। তোমরা রাজকোষ ভরে উঠল বলে!
-- সৌমেন একাই শুধু হেঁয়ালি করে না। মিতাও জানে হেঁয়ালির ভাষা।
-- হেঁয়ালি কোথায় দেখলে তুমি! সবকিছু বোঝো আর এ পোড়া মনের কথা বুঝতে পারো না?
-- কতো কিছুই তো বুঝি না। সময়ের শাণিত শিশা বিদ্রুপ করে, তবুও দিনলিপি হাতছানি দিয়ে জানান দেয় - মালতীদি তোমার দেখাশোনা ঠিকমত করছে না বোধকরি। এবার বাড়ি ফিরলে...
-- বাড়ি ফিরলে, তবে না! তুমি তো কাজ পাগল মানুষ, আমার কথা ভাবার সময় আছে তোমার? সামনের মাসে নতুন অতিথি আসছে আমাদের - মনে নেই বুঝি!
-- আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি, আর ভবিষ্যতেও বলবো - আমার সব ভুলের সূত্র তুমি।
-- হ্যাঁ, সে তো আমি জানি।
-- কি জানো?
-- ঐ যে বললে, আনবে দুল।
-- আমি বলেছি "ভুল"।
-- উঁহুঁ, ভুল নয়। নিয়ে এসো একজোড়া হীরের ফুল। শুনছো..
-- শুনছি...
-- কি শুনছো?
-- বসন্তের গান গাইছে বুলবুল।