গত ডিসেম্বর’১৮ মাসে কবি বিভূতি দাস মহাশয়ের বাড়ি ঘরোয়া বিজয়া সম্মেলনীর পর গত ১৭/০২/২০১৯ রবিবার কবি সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাগান-বাড়িতে, ১৪ ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মীরে যে সকল বীর সৈন্য শহীদ হয়েছিলেন, সেই সকল শহীদদের স্মরণে নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর জলযোগ ও মধ্যাহ্ন ভোজনসহ অনুষ্ঠিত হল পঞ্চম মাসিক সাহিত্য সভা ও বনভোজন, এবং সাথে সাথে আগামী ৭ এপ্রিল ২০১৯-এ কলকাতা, যাদবপুর অঞ্চলে “শহীদ সূর্যসেন মঞ্চে” অনুষ্ঠিত হবে “ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী কবি-সম্মেলন ২০১৯”, তার পরিকল্পনা ও অনুদান সংগ্রহ কার্য। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি যে সকল কবি পঞ্চম মাসিক সভায় উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন, সর্বকবি স্বপন বিশ্বাস, নরেশ বৈদ্য, অনন্ত গোস্বামী, বিভূতি দাস, প্রণব লাল মজুমদার, সস্ত্রীক অসিত কুমার রায়, সুখেন্দু মাইতি, স্বপন গায়েন, সৈকত পাল, প্রবীর দে, সমীর প্রামাণিক, সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায় ও সস্ত্রীক সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে সাহিত্য পাঠ ও “আলোর মিছিল” বিজয় দিবস সংখ্যা বিনিময়ও হয়। যারা এখনও সময়ের অভাবে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন নি, তারা অবশ্যই সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় নিকট থেকে সংগ্রহ করে নেবেন (অবশিষ্ট সংখ্যা ১০টি)।
সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তে উপনিত হলাম আমরা, আগত কবি-সম্মেলনে সকল কবিকেই ব্যাজ ও স্ব স্ব নামে মেমন্টো দিয়ে সম্মানিত করা হবে বাংলা কবিতা ডটকমের পক্ষ থেকে আসরের সদস্যগণ পরিচালিত এই আনন্দানুষ্ঠানে। সে কারণেই সকল কবিকে অনুরোধ করা হইতেছে যে, যাঁরা অবশ্যই উপস্থিত হবেন, তাঁরা মন্তব্যের ঘরে তাঁদের সম্পূর্ণ মতামত রাখবেন।
“ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী কবি-সম্মেলন ২০১৯” – ৭ এপ্রিল ২০১৯ রবিবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা।
• সকল কবিগণকেই জানানো যাইতেছে যে, আপনারা প্রত্যেকেই হলে প্রবেশের সময়ই ভারপ্রাপ্ত কবিদ্বয় সৈকত পাল ও সুখেন্দু মাইতির নিকট হইতে ব্যাজ সংগ্রহ ও আপনাদের উপস্থিতির সাক্ষর রেখে অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় সহায়তা করবেন।
• প্রথম পর্যায়ে্র অনুষ্ঠান (বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১:৩০ মিনিট)
• উদ্বোধনী সমবেত সংগীত - অসিত কুমার রায় ও জয়শ্রী রায় মৈত্র এবং আরও অনেকে।
• এডমিন কবি আশফাকুর রহমান পল্লব মহাশয়ের প্রেরিত স্বাগত ভাষণ পাঠ।
• আবৃত্তি ও সংগীতের যুগলবন্দীঃ কবিতা “পূব-পশ্চিম”- অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্ত এবং কাজী নজরুল ইসলাম রচিত সংগীত “গঙ্গা-সিন্ধু-নর্মদা কাবেরী-যমুনা ওই”। অংশগ্রহণে - সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ঐশাণী মুখোপাধ্যায়
• সভাপতি ও বিশেষ অতিথিদের বরণঃ- (ব্যাজ, উত্তরীয় ও পুষ্পস্তবক সহ)
সর্বকবি অনিরুদ্ধ বুলবুল (সভাপতি), বোদরুল আলম, বরুন চক্রবর্তী (অতিথি কবি), দেবপ্রসাদ বসু (অতিথি কবি), বিভূতি দাস, গায়ত্রী ঘোষ।
• এছাড়াও বাংলা কবিতা ডটকমের বেশকিছু কবিগণকে বরণ করে নেওয়া হবে, যারা হলেন সর্বকবি দিলীপ চট্টোপাধ্যায়, চিত্তরঞ্জন সরকার, পলক রহমান, অরুপ কুমার গোস্বামী, অজিত কুমার কর, প্রবীর চ্যাটার্জী, প্রণব মজুমদার, যাদব চৌধুরী, তমাল ব্যানার্জি, অজিতেশ নাগ, সংকেত চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়, আর্যতীর্থ, প্রণব লাল মজুমদার, অমিতাভ শূর, লিলি দাস, পারমিতা ব্যানার্জি, মৌটুসী মিত্র গুহ, মল্লিকা রায়, মিতা চ্যাটার্জী, জয়শ্রী কর, বিকাশ দাস, সঞ্জয় কর্মকার, পরিতোষ ভৌমিক, তরুণ গিরি, সোমদেব চট্টোপাধ্যায়, মহঃ সানারুল মোমিন, যোগেশ বিশ্বাস, স্বপন কুমার দাস, সুদীপ তন্তুবায় এবং এছাড়াও সকল কবিগণকেই বরণ করে নেওয়া হবে।
• আলোচনা - (অনধিক ৫ মিনিট)
• “আধুনিক জীবনে সাহিত্য চর্চার প্রয়োজনীয়তা আছে কি? সাহিত্য চর্চার চেয়ে বিঞ্জান চর্চার গুরুত্ব কি বেশি নয়?” – বলবেন কবি যাদব চৌধুরী।
• ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করবেন – আমন্ত্রীত সংগীত শিল্পী প্রসেনজীৎ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় (শিল্পী “এই সময়” পত্রিকার সাংবাদিক)।
• “বিবর্তনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের এ সেকাল-একাল” – বলবেন অতিথি কবি বরুন চক্রবর্তী মহাশয়।
• চা পানের বিরতি (১০ মিনিট)
• কবিতা পাঠ – অতিথি কবি দেবপ্রসাদ বসু মহাশয় ও আসরের পাঁচ/দশ জন কবিগণ। (সময় অনধিক ৩ মিনিট)
শ্রতিনাটক - কবি বিভূতি দাস ও সহ শিল্পী।
• “কিভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "আমার সোনার বাংলা" গানটি হয়ে গেল বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত?” – বলবেন অতিথি কবি অনিরুদ্ধ বুলবুল মহাশয়।
• বই প্রকাশ ও বিনিময়।
• “কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায় ও গানে প্রেম ভাবনা” – বলবেন কবি সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়।
• মধ্যাহ্নভোজ (দুপুর ১:৩০ মিনিট থেকে দুপুর ২টো)
• দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান (দুপুর ২টো থেকে বিকাল ৫টা)
• সংগীত - ঐশাণী মুখোপাধ্যায় ও প্রসেনজীৎ চট্টোপাধ্যায় (অতিথি শিল্পীগণ)
• কবিতা পাঠ, আবৃত্তি ও অনুগল্প পাঠ (সময় কবিতার ক্ষেত্রে অনধিক ৩ মিনিট এবং অনুগল্পের ক্ষেত্রে অনধিক ৫ মিনিট) - আসরের কবিগণ।
• “যতদিন বিপ্লব বেঁচে থাকবে, কবিতাও বেঁচে থাকবে আমাদের মাঝে" / “বিপ্লব ও কবিতা” - বলবেন কবি প্রবীর দে মহাশয়।
• কবিতা পাঠ (সময় অনধিক ৩ মিনিট) - আসরের কবিগণ।
• সভাপতির সমাপ্তি ভাষণ।
• এ পর্যন্ত যে সকল কবিগণ “ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী কবি-সম্মেলন ২০১৯”-এর জন্য সতস্ফুর্তভাবে অনুদান দিয়েছেন তাদের নাম এখানে উল্লেখ করা হল – সর্বকবি অজিতেশ নাগ, দীপক কুমার সরকার, সংকেত চট্টোপাধ্যায়, স্বপন বিশ্বাস, তমাল ব্যানার্জি, পারমিতা ব্যানার্জি, রণজিৎ মাইতি, নরশ বৈদ্য, বিভূতি দাস, প্রণব লাল মজুমদার, স্বপন গায়েন, সৈকত পাল, সমীর প্রামাণিক, সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়, প্রীতিলতা রায় (হালদার), যাদব চৌধুরী, আভা সরকার মন্ডল, মিতা চ্যাটার্জী, প্রবীর চ্যাটার্জী, জয়শ্রী রায় মৈত্র, দেবদাস মৈত্র, অসিত কুমার রায়, সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায়, রীনা বিশ্বাস, চিত্তরঞ্জন সরকার, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কবি, প্রবীর দে, মৌমিতা জানা (সংহিতা), বিশ্বজিৎ শ্বাসমল।
• যারা অনুষ্ঠানের জন্য সতস্ফুর্তভাবে অনুদান দিতে চান, তারা কবি সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দূরাভাষে যোগাযোগ করে নেবেন। অনুষ্ঠানের পূর্বে মোট কত অনুদান সংগ্রহ হল এবং ২০১৮তে যে পরিমান অনুদান জমা রয়েছে তার হিসাব কবিদের নামসহ প্রকাশ করা হবে মার্চ মাসের মাসিক সভার পর।
• যে সকল কবি কবিতা / অনুগল্প পাঠে অংশ নিতে চান তারা মন্তব্যের ঘরে আপনাদের মতামত প্রকাশ করবেন।
• অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন যথাক্রমে সর্বকবি অনন্ত গোস্বামী, গায়ত্রী ঘোষ (মিমি) ও বিভূতি দাস।
• যে সকল কবি বাংলাদেশ থেকে আসবেন, তাঁরা পূর্ব হতে জানাবেন আশা রাখি। তাঁরা অবশ্যই কবি অনিরুদ্ধ বুলবুলের সাথে যোগাযোগ করুন একসাথে আসবার জন্য। প্রয়োজন বোধে অনুষ্ঠান সূচী সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
ধন্যবাদান্তে –
“ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী কবি সম্মেলন ২০১৯” কমিটির
আহ্বায়ক সদস্যগণ
• যোগাযোগ – সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় – 9830349475
পথনির্দেশ:- শহীদ সূ্র্য সেন ভবন, ৪৩২ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, কোলকাতা ৭০০০৬৮ (যাদবপুর EDF NURSING HOME এর উল্টো দিকে / তালতলা মাঠের পাশে)। নিকটস্থ রেল স্টেশন যাদবপুর ও নিকটস্থ মেট্রোরেল স্টেশন রবীন্দ্রসরোবর)।