১৯৭৩ সালে ১লা জানুয়ারী আমার জন্ম পশ্চিম বঙ্গের দ: ২৪ পরগনার মথুরাপুর গ্রামে। স্নাতক ক: বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯২ সালে বাণিজ্য শাখায়। আমি যখন পঞ্চম শেণীতে পড়ি তখন আমার পিতৃ বিযোগ ঘটে। তারপর আমার মা আমাকে ব্হু সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বড় করেন। এখন আমি বিবাহিত, ৫ বছরের একটি পুত্র সন্তান আছে - রূদ্র প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে আমি Power Sector-এ Accounts Dept.-এ কর্মরত।  

যখন আমি কলেজের প্রথম বর্ষে পড়ি তখন থেকে লেখালেখি শুরু করি।  সময়টা ১৯৯২ সাল। তার ১ বছর পর একটি লিটিল ম্যাগাজিনের (নব-বার্ণিক) সহ-সম্পাদক হিসাবে যোগদান করি।  প্রায় ৭ বছর ধরে এই কাজ করতে থাকি।  এ সময় আরো নানান পত্রিকায় লেখা পাঠাতে থাকি।  আমার প্রিয় কবি হিসাবে আমি প্রথমেই রবি ঠাকুর ও তার পরেই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয় কে পছন্দ করি। মানুষের মাঝখানে থেকে মানুষের কথা লিখে নয়, তাদের সাথে পথ চলা শুরু সেই ১৯৯২ থেকেই শুরু হয়েছিল  .... আজও তা চলমান।  বেশিরভাগ লেখাই তাদের নিয়ে  ..... আমি ভালোবাসি আন্দোলন  .... বাঁচি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। ২০০৫ সালে একটি কবিতা 'সুনীল' বাবুকে পাঠাই (প্রার্থী), তাঁর  আস্থাভাজন হই ও অনেক শুভেচ্ছা পাই।  আমি নিজে কবিতা লিখি বটে তবে অন্যের কবিতা আবৃত্তি করতে বেশি ভালবাসি। ২০০৮ সালে চণ্ডীগড় থেকে সপ্তম বর্ষের আবৃত্তির কোর্ষে প্রথম শ্রেণীতে ডিগ্রী লাভ করি। এছাড়াও নানা জায়গায় আবৃত্তি করে থাকি আমন্ত্রিত শিল্পী হিসাবে।

আর যতদিন লিখব, তাদের নিয়েই লিখব যারা সর্বহারা  .....লিখব তাদের আগামী দিনের ঘোষণা। আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করলাম।  
পথ চলা শুরু হলো ...

==============

বাংলা কবিতা ডটকমের সদস্যগণ দ্বারা আয়োজিত সপ্তম মাসিক সাহিত্য সভার চিত্ররূপ নিয়ে আমি প্রচারক সদস্য সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১১ই আগষ্ট ২০১৯ রবিবার নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পর অর্থাৎ বেলা ১১টা বেজে ২০ মিনিট নাগাদ উত্তর বারাসাতের "সমন্বয়" ভবনে শুরু হয়েছিল "শহীদ স্মরণে কবিমন মিলনে"। অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্বোধনী সংগীত, এরপর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সভাকবি বিভূতি দাস মহাশয়সহ সর্বকবি তমাল ব্যানার্জি, স্বপন কুমার দাস ও পারমিতা ব্যানার্জি মহাশয়াকে উত্তরীয় দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। স্বাগত ভাষণ রাখেন কবি চিত্তরঞ্জন সরকার মহাশয়। এরপর শুরু হয় প্রবন্ধ পাঠ, স্বরচিত-কবিতা, অনুগল্প পাঠ,  আবৃত্তি ও সংগীতের মূর্ছনায় অনুষ্ঠান ছিল জমজমাট। সভাকবি আসরে প্রস্তাব রাখেন - যেহেতু প্রতি মাসে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত করা যাচ্ছে না, সে কারণে তিন মাস অন্তর অর্থাৎ ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত করার আহ্বান জানান। সর্বপরি সর্বকবি চিত্তরঞ্জন সরকার, প্রণব লাল মজুমদার ও মল্লিকা রায়ের তত্ত্বাবধানে ও আপ্যায়নে সদস্যগণ ভীষণভাবে তুষ্ট ও প্রীত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কবি অচিন্ত্য সরকার ও কবি মল্লিকা রায়। তবে আবহাওয়া খুবই শুষ্ক থাকায় কিছুটা অস্বস্তিবোধ করছিলেন সদস্যগণ। বৃষ্টিপাত হয়নি। আসরের সদস্যগণসহ মোট উপস্থিতির সংখ্যা ছিল ৩৪ জন। তারা হলেন সর্বকবি - বিশ্বজিৎ শাসমল, প্রবীর দে, স্বপন বিশ্বাস, অচিন্ত্য সরকার, সমীর প্রামাণিক, অনন্ত গোস্বামী, সংকেত চট্টোপাধ্যায়,  গৌতম রায় (সহধর্মিনীসহ), পারমিতা ব্যানার্জী, তমাল ব্যানার্জী,  রবীন্দ্রনাথ সরকার (কন্যাসহ), সুখেন্দু মাইতি, রণজীৎ মাইতি, বিভূতি দাস, সৈকত পাল, সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রণব লাল মজুমদার, মল্লিকা রায়, চিত্তরঞ্জন সরকার, মিমি, অসিত কুমার রায়, জয়শ্রী রায় মৈত্র, দেবদাস মৈত্র, দেবাশিস ঘোষ, দেব প্রসাদ জানা, গৌরী চক্রবর্তী, জয়ন্ত বাগচী, মণীষ চক্রবর্তী, সৌমেন কুমার চৌধুরী,  শেখ মুহসিন হাসান (ভ্রাতাসহ), স্বপন কুমার দাস প্রমুখ। এছাড়া আসরের কবি অজিতেশ নাগ, কবি প্রবীর চ্যাটার্জি ও কবি বিকাশ দাসের প্রেরিত অনুগল্প ও কবিতা আসরে পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে বৈকাল ৪:৩০টা নাগাদ।  সংগীত পরিবেশন করেন সদস্যা জয়শ্রী রায় মৈত্র। এখানেই শেষ করলাম সপ্তম মাসিক সাহিত্য সভার রূপরেখা। ধন্যবাদ।