ফাগুনের হাওয়া বইছে
দরজায় আজ যেন,
বসন্ত কড়া নাড়াচ্ছে
আগমনী সুর বেধেছে
বুক ভাসিয়ে গ্রহণ করলাম
অনেকদিন পর ;যখন নতুনত্ব আসে
পলাশের আশেপাশে
আকাশে তখন রঙেরা খেলা করে
এই হাওয়ায় যেন সুদর্শন উড়ে
শীতের চাদরে অলসতাকে উহ্য করে
কলমে কলমকারী
কেননা,
ফাগুনের রং ছড়িয়ে দিবে বলে।
কোথাও এঁকে আছে মানুষ,
কোথাও বা এঁকে আছে বিরহব্যাথা;
সাদা কোনো ক্যানভাসে
হয়তো কোলাহল শেষে মিলিয়ে যাবে
এক হ্রাস নিস্তব্ধতা।
কোথাও বা এঁকে আছে নীল খামে লেখা অসমাপ্তি প্রেমের চিঠি কিংবা নিরুদ্দেশ গন্তব্য।
আবার হয়তো কোথাও বা এঁকে আছে কোনো রেললাইনের মেঠুপথের ধারে শুঁকিয়ে যাওয়া ডালাপালার পাশেই
শিমুল গাছে শিমূলগুচ্ছ
যাতে বসে রাতে লক্ষীপেচা ডাকে
তবু শুকিয়ে যাওয়া ফুলের মায়া আজ খুবই তুচ্ছ
হতো যদি ফাগুনের সাথে কথোপকথন
আমি কলমকারী জিজ্ঞেস করতাম - তোমায় কি বর্ণনা করা যায় কোনো অক্ষরে ?
তুমি যে নির্মলা, তুমিই তো স্নিগ্ধতা
আবার তুমিই বিষাদগ্রস্ত পীড়া।
এত্তো এত্তো রং তোমার
এই রঙেই আবার রাঙিয়ে তোলো সবাইকে।
তুমি বড়ই বিচিত্র
তোমার কারনেই জীবনানন্দ
হয়তো আবার এসেছে কোথাও না কোথাও
কোনো শঙ্খচিল শালিকের বেশে
হ্যাঁ, ফাগুন।
তুমি অদ্ভুত বিচিত্র।