জীবনে প্রথম বার খুলেছিলো আখি তার
নার্সের কুলে শুয়ে এই হসপিটালে
ছিলো অচেনা মুখ অজানা রাজত্বে করেছে খেলা কত জন্ম পরভ্রমে,
নাহি ছিলো সেথায় তাহার মায়ের বদন
অচেনা কত যে মুখ দেখিয়াছে তবে ৷
আস্তে আস্তে তাহার কাটিলো জন্ম ঘোর
রাখিলো পদখানি তাহার দুবছরের ঘরে,
হাটি হাটি পা পা সেখায় তাহার খালামুনি
কখনো নানু এসে করুণ সুরে বলে ৷
যখন দেহে তাহার আসিলো স্বল্প বল
মগজ বারে গজায় মিহি আলোর কিরণ
ধরিয়া কপাটখানি এপাশ ওপাশে খুজে
এই বুঝি মা জননী নিবে তাহার কুলে ,
কেইবা জানিতো তখন বৃথা সব স্বপ্ন মহল
শুনিলো জোয়ান হয়ে মা যে তাহার চলে গেছে
জন্ম দিয়ে তারে দুদিন অপেক্ষা করে
খুলিয়া তাহার আখি চির নিদ্রায় গেছে মা জননী
এক বার চেয়ে তাহার পানে ৷
যৌবনে তাহার বাজিলো বিয়ের ঢোল
আসিলো রমনী পরম তাহার ছোট্র ঘরে
সুখের মাঝেও এক কষ্টের বটছায়া
জড়ায়ে রেখেছিলো তাহার অবাদ মস্তক জুড়ে,
আজ কতই না খুশি হতো মা তাহার
আজকের দিনটির তরে ৷
দিতেছিলো পাড়ি বৈবাহিক জীবন
আসিলো ঘর জুড়ে দু দুটি মানিক রতন,
আনন্দ ভরা সাগর পাথারে কতেক বছর ছিলো ডুবে
হঠাৎ করেই মরণ ব্যাধি বাধিলো ঘর তাহার দেহ মূলে ৷
হাসি ভরা ঘরখানি তার নিঃশ্বফল মুর্তিখানি
চোখের সামনে ভাসে তাহার দু দুটি মানিক জুড়ি,
সুখের মাঝেই বিধি কষ্টের বাধ দিলো ভেঙ্গে
আবার আসিলো ফিড়ে সেই হসপিটালে অর্ধশতক বছর পরে ৷
তাহার তরে নাহি আছে কষ্ট নাহিবা কোন অসীম রত্ন
কে দেখিবে তাহার দেহ শাখা?
তাহাদের তরে কেইবা আছে?
নিরহ তাহার হৃদয় চাতক পাখির মত স্রষ্টার দিকে আছে চেয়ে ৷
পরছে মনে তাহার যৌবনের সেই বাহু বল
অসাধ্য কত কাজ করিয়াছে সাধন,
আজ নাহি চলতে পারে সে পরের কৃপা বিনে
আহা! যেথায় খুলেছিলো আখি সেথায় আছে বসে
আজ দুচোখ বুজার প্রহর গুনে ৷