বাংলা ভাষার প্রাচীনতম পুঁথি নবম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীতে বৌদ্ধাচার্যদের রচিত 'চর্যাগীতিকোষ' বা চর্যাপদ।নিজেদের সাধনার বিষয়বস্তুকে বিভিন্ন রূপকের মাধ্যমে তাঁরা লোকভাষায় লিখে প্রচার করতেন।চর্যাপদের কবিরা বিভিন্ন ভাষাভাষী ছিলেন।
এমনই এক সাধক ভুসুকুপা ছিলেন পদ্মা-পাড়ের বাঙ্গালী কবি।তাঁর রচিত একটি পদে এর আভাস স্পষ্ট।কবিতাটির কাব্যগুণ অসাধারণ।সমকালীন সমাজের এক বাস্তব চিত্র এতে ফুটে উঠেছে।ভাষাবিদ সুকুমার সেন আধুনিক বাংলা ভাষায় কবিতাটি অনুবাদ করেছেন।
কবিতাটি নিম্নরূপ-
"বজ্র-নৌকা পাড়ি দিয়া বাহিল পদ্মা-খালে
লুন্ঠন করিল দেশ নির্দয় ডাঙ্গালে।
আজিকে ভুসুকু হইলি (গরীব) বাঙ্গাল
আপন গৃহিনী (তোর) লইল চন্ডাল।
পুড়িল পঞ্চপাট ইন্দ্ররাজ্য (হইল) নষ্ট
নাহি জানি চিত্ত মোর কোথা গে প্রবিষ্ট।
সোনা-রূপা মোর আর কিছু নাহি রহে
নিজ পরিবার সঙ্গে থাকি মহা স্বেহে।
চারি কোটি ভাড়ার মোর হইয়াছে শেষ
বাঁচায় মরায় (মোর) নাহিক বিশেষ।।"