জীবন থেকে মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। হতে পারে সেটা নিজের জীবন থেকে, হতে পারে অন্যের জীবন থেকে।
কিন্তু এই জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ ও কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌঁছুতে satisfaction (আত্মতুষ্টি) বলতে একটা বিষয় খুবই গুরুত্ব রাখে।
আত্মতৃপ্তির যে মানদণ্ডই মানুষ দাঁড় করাক না কেন! সেটা হয়তো সাময়িক আত্মতুষ্টির কারণ হতে পারে।
কিন্তু মানুষের কর্ম চাঞ্চল্য, দক্ষতা ও যোগ্যতার দরুন, আত্মতৃপ্তির বিষয়টি কম-বেশি হতে পারে। আর এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক।
তবে সমস্যা হচ্ছে ঐ ব্যক্তির জন্য, যে নিজের যোগ্যতার চাইতে অধিক আত্মতৃপ্তি অনুভব করতে আগ্রহী। অথবা যোগ্যতার বাহ্যিক মানদণ্ডে যে পরিমান আত্মতুষ্টিতে ভোগার জন্য তার অনুমতি রয়েছে, সে পরিমাণ আত্মতৃপ্ত সে হচ্ছে না।
তাহলে মানুষ কি জীবন সংগ্রামে হাল ছেড়ে দিবে?
নাকি সেটাকে আত্মতৃপ্তিতে পরিবর্তন করতে চাইবে?
যারা জীবন সংগ্রামে হাল ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের গল্পগুলো অমীমাংসিতই থেকে যায়। আর যারা পরিবর্তনের নেশায় এদিক-ওদিক ছুটোছুটি করে, তারা অনেক সময় দৌড় প্রতিযোগিতায় হার মেনে নিলেও, সবাই সব সময় ঝরে যায় না।
দুনিয়াতে এ ধরনের মানুষের বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। কেউ না থাকলেও সময় ঠিকই বলে দিবে, "তুমিও এ দুনিয়ার জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারবে কিনা?"