❝ঘুমানো নিষেধ, তবে জেগে থাকাটাও বারণ।
অনুমতি আছে মৃত্যুর, তবে সেটা মহাপাপের কারণ।❞
ঘুমাতে চাইলেও তাড়া করে বেড়াবে কোন চেনা মানুষের ঘ্রাণ, শ্বাস ঘন আবহাওয়া, পরিতৃপ্তির নিঃশ্বাস।
জাগ্রত থেকেও সে মানুষটার ছায়া খুঁজে বেড়াবে, হৃদপিণ্ড দীর্ঘক্ষণ সংকুচিত হবে, অপরিচিত হবে বাতাস।
কিছু একটা মনে করে ডাকতে চাইলেই বিকট মোচড় খায় বুকের বা পাশের গভীরে, অপারগতার চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়ে ঠিক হতে হয়।
আশেপাশে তাকিয়ে খুঁজতে চাওয়ার ইচ্ছা, তার কোমলমতি চেহারায় একবার তাকানোর অভিপ্রায়, বুকের জখমের পট্টি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নিদ্রা চোখে পাশে হাতরে কাউকে খুঁজে বেড়াবে, প্রথমে বিরক্ত হলেও পরে সব মনে পরবে। মনে পরবে চূর্ণ হয়ে যাওয়া 'বিশ্বাস'।
কিভাবে সব ঠিক হবে! ঠিক হলেই বা কি হবে? ভাবতে গেলেই আটকে যাবে দুর্বল ফুসফুসের একাধিক নিঃশ্বাস।
এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়!? যার অস্তিত্ব অনুভব ছিল শান্তির কারণ, তাকে নিয়ে ভাবাটাও আজ সহস্রবার বারণ।
ভাবতে চাইনা 'আর জীবনেও ভাববো না', যদি করে নেই আত্ম জীবনের হরণ। কিন্তু এ পথে চললে তো হবে অতি নিকৃষ্ট মরণ।
তাই শত কষ্ট করেও বেঁচে থাকতে হয়, বেঁচে থাকতে না চাওয়া মানুষ গুলোকে। যদি "বিধাতা" লিখে রাখেন কভু তাক্বদীরে (ভাগ্যে) নতুন করে বেঁচে থাকার কারণ গুলোকে। 😊
🕡 সন্ধ্যাঃ ছয়টা ত্রিশ।
📅 পনেরো || দশ || বাইশ