আরবের ধূ ধূ মরুপ্রান্তর।
মরু মানে আরব
আরব মানে মরু,
দিগন্ত বিস্তৃত
নেই শেষ শুরু।
মরু মানে বালু
বালু, ন্যাড়া পাথর
উষ্ণ মরুভূমি
শুষ্ক ওষ্ঠাধর।
বিগলিত বালুকারাশি উত্তপ্ত জ্বলনে অসহ্য যন্ত্রণায় নিঃশব্দে ছটফট করে যায় দিবালোক পরগমনের আগ পর্যন্ত।
চিরায়িত নিয়মে সূর্য্যির ঘুম ভাঙ্গা যেন দামামা বাজিয়ে কোটি কোটি লস্কর আকাশের মেঘ ফুড়ে আছড়ে পড়া বালুকাময় প্রান্তরে,
সোনালী আলোকরশ্মির প্রতিটি কণা যেন দূর্তান্ত সিপাহীর ন্যায় উৎসর্গিত জয়গানে ক্রমাঘাত করেই যায় ধুলোকণার দেহ মন-অন্তরে।
ধিরে ধিরে পা বেয়ে অনলের আলো যবে ঘাড় ছেড়ে মাথা অবধি, যৌবনের তারুণ্যে কক্ষপথ বিচরণে ক্ষমতার দেখা মিলে দুর্দান্ত।
শত হাজার বছর অবধি খোদায়ী সিদ্ধান্তে
আলোবর্ষিতা আজও তার দায়িত্বে অনড়,
এতে করে কেঁদে যাক অশ্রুহীন কান্নায়
স্রষ্টার হুকুমেই সৃষ্টির লাখো-কোটি প্রান্তর।
কিরণের বিকিরণে পিপাসিত প্রাণীকুল
মরিচিকা ভুলে গিয়ে চিকচিকে দরিয়ায় ঝাপ দেয়,
ফিরে পাওয়া জীবনের বুক ভরে আশা নিয়ে
জল ভেবে মুখ ভরে বালু গিলে নেয়।
বেঁচে থাকা এ সাগরে উষ্ণ মরু বুকে বালু পাথর আঁকড়ে
স্মৃতিভ্রম ছাড়া যেন কিছু নয়,
তব এ সমুদ্রে নানাদিক চোখ বুলে পানিহীন বন্যায়
যেরোফাইটিক গাছ বহু দেখা যায়।
লবণের ঝাঁঝ সয়ে বালু চিরে বেড়িয়ে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে হ্যালোফাইটিক গাছ মরু দরিয়ায়,
খাবারের উপযোগী শুকনো খেজুরই ছিল
বহু দূরে দূরে কিছু পানি পাওয়া যায়।
এমন এক প্রান্তরে, কূল হীন সাগরে,
যাযাবর বেশে ঘুরে, থাকে খায় মরু বুকে,
জাহাজের পিঠে ছিল চলাচল।
ভেড়া বকরির ছালে, চামড়ায়-বোনা চালে,
ছোট ছোট খিমা মিলে, খেজুরের চাষ করে,
গোত্রপতিরা ছিল নিয়ে দলবল।
আজকের এ মরু যত উন্নত
জাহেলি যুগে ছিল না তার ছিটেফোঁটা,
আধুনিক যুগে তার মিল শুধু
লো-হাওয়ার ঝড় আর রোদ কাঠফাঁটা।
📌 পরবর্তী অংশ ১০/০৬/২২ এ প্রকাশিত।