হয়তো তখনকার দিনগুলি অন্যরকম ছিলো,
সন্ধ্যা হতেই টুকটাক খাবার কিনতে বেরিয়ে পড়তাম বান্ধবীদের হাত ধরে,
ওরা খেতো ঝালমুড়ি, টাইফয়েডের ভয়ে আমি থাকতাম দূরে,
মার্কস এর নিচের মামার দোকান থেকে খুজে খুজে আনতাম কত খাবার,
টং দোকানে চা খেতে খেতে ভুলে যেতাম মেডিকেল লাইফের যত ক্লান্তি, চা খেয়ে মেডিকেল নামক কারাগারে ফিরে যেতাম আবার।
বহুদিন টং দোকানের চা খাইনা, বহুদিন হলো কাছেই কোথাও ঘুরতে যাইনা,
আর কি খেতে পারবো সেই চা?
আর কি ভুলতে পারবো জীবনের যত ক্লান্তি!
আর কি পারবো?
নাকি হোস্টেলের ৩০৬ নাম্বার রুমটা কেবলি থাকবে তালাবন্দী?
স্মৃতিতেই থাকবে কত আড্ডা,কত কোলাহল,আর সেই চেনা মুখগুলি যাদের সাথে আমার বন্ধুত্বের সন্ধি।