স্টেশানে ভীড় খানিকটা
কম ছিলো
ট্রেন আসতে বেশ কিছুটা
লেট ছিলো,
হঠাত করেই প্লাটফরমে
রুপকন্যা এক হাঁটছিলো,
চোঁখ দুটো তার নীল ছিল
কপলে কালো তিলছিল ।
মুখ বরাবর চুলগুলো
তার ঝুলছিলো।
এলো হাওয়ার দু্ষ্টুমিতে
শাড়ীর আঁচল উড়ছিলো,
ঠোঁট দুটো তার সদ্য ফোটা
গোলাপ পাঁপড়ী ফুল ছিলো।
সোনার কানে সোনার দুটো
দুল ছিলো
হাঁটার তালে দুল দুটিও
দুলছিলো।
নাকের ডগায় বিন্দু বিন্দু
ঘামছিল,
বিকেল রোদের আগুন
রঙে মুখটি যে তার জ্বলছিলো।
ক্লান্তদেহে মাঝে মাঝে
পাশের বেঞ্চে বসছিলো,
ব্লাক বেল্টের হাত ঘড়িটা
বারে বারে দেখছিলো,
মায়াভরা দৃষ্টি দিয়ে
কি যেন সে খুঁজছিলো।
মাঝে মাঝে উদাস মনে
হয়তো কিছু ভাবছিলো,
তাকে নিয়ে পাশে সিটের
ছেলেটি যে কবিতা লেখার
শব্দ কিছু খুঁজছিলো,
হৃদয়পটে রুপকন্যার ছবি
কিছু আঁকছিলো,
কল্পনাতে ভাসছিলো
স্বপ্নে খানিক উড়ছিলো,
স্বপ্ন কিছু বুনছিলো,
বাড়ীর কথা ভুলছিলো,
লাল বাতিটা জ্বলতে
দেখেই দির্ঘনিঃশ্বাস
ফেলছিলো,
রুপকন্যা হারিয়ে যাবার
শংকায় সে ভুগছিলো,
এক মুহুর্তের রুপকন্যার
রুপে এ কোন যাদু ছিলো?
ট্রেনের শব্দ শুনেই যখন
রুপকন্যা ট্রেনের
দিকে ছুটছিলো,
ছেলেটির তখন হৃদ
কম্পন বাড়ছিলো
রুপকন্যা কি বুঝেছিলো?