রুদ্ধদ্ধারে লাথি মারো আগুনজ্বালো আগুনজ্বালো
তিব্রজ্বালাময়ী মিছিলের নেতৃত্বে
থাকা বাপ্পা এখন তার পৈত্রিক ব্যাবসার গদিতে বসে ।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে আত্তস্বিকৃত প্রতিবাদী কবি রাহিম রানা
শুনেছি এনজিও তে ভাল চাকরী নিয়েছে ।
ফেস্টুন ব্যানার আর প্রচারের দায়িত্বরত কি যেন নাম ছিল ছেলেটার!
মুখভর্তি দাড়ি গোঁফ অগোছালো চুলের ভিতর গভীর কঠোর দৃষ্টিতে
যার স্ফুলিং বের হতো,
দ্রোহ ভরা গম্ভীর কন্ঠে যার নির্গত হতো গনগনে আগুন,
গ্রীস্মের তপ্ত রোদ্রের মত ঝলসে দিত শাষকদের কান ।
সেও আজ নিরুদ্দেশ ।
হয়তো সংসার পেতে বসে গেছে মফস্বলে কোন কলেজে বা স্কুলে ।
আর চে টুপি মাথায় দেওয়া শরীফ নামের যে ছেলেটা
সারারাত শহরময় রঙের ডিব্বা আর ব্রাশ নিয়ে দেয়ালে দেয়ালে
এঁকে বেড়াতো সমাজ সংস্কারের আল্পনা ,
গত পরশু হঠাত তার সাথে দেখা হয়ে গেল ভুতের গলির এক চা দোকানে ।
কথায় কথায় মায়া কান্না জুড়ে দিল রাজপথে ঝরে যাওয়া তার
সাত সাতটি বছরের জন্য ।
সে এখন প্রবাস বাসে ।
সে আবেগের চশমা খুলে আকাশ দেখার পরামর্শ দিয়ে চলে গেলো,
চশমা খুললেই আকাশ দেখা যায়,
কিন্তু প্রভাতী আকাশ, তা কি দেখা যায় খুব সহসায়?