মেঘ দুপুরে মাঠ পেরিয়ে
উজান গায়ের ঘাট ডিঙ্গিয়ে
নীল গাংচিল আলতো আদর,
রাতের গায়ের আঁধার চাদর
নিজের দেহে সব মুড়িয়ে
কাতর পায়ে সব পাড়িয়ে
কাঁপছো ভারি, খুব থরথর
চলছো পথিক কে গো তুমি?
কোথায় তোমার ঘর?
আঁকাবাঁকা আমার পরে
বন রেখে যাও বনের পরে,
মনের সাথে একলা বলো
নিজের কথা গুনগুনিয়ে,
কিসের আশায়, কিসের নেশায়
একলা ফেরো আঁধার চোখে
চলছো পথিক, কোন ভরসায়,
শুনছো পথিক ও নিশাচর,
যাচ্ছো কোথায়,
কোথায় তোমার ঘর?
বলবো কি আর কথা রে পথ
বলা যে ভাই আছে মানা,
মুখ একটা আছে বটে
জীহ্বা যে তার নাই,
পথিক আমি নইতো মোটে
নিঁপিড়িত আত্তা বুকে
চলছি আমি গতির সাথেই
পথিক নামের প্রেতচ্ছায়া।
শশ্বান শশ্বান ঘুরি আমি
না বলা সব কষ্ট নিয়ে
আমার মতো ছিলো যারা
তারা যে আজ খুব ঘুমিয়ে,
তাদের যদি জাগাতে পারি
জীহ্বা ছাড়া বলতে পারি,
তবেই না হয় ক্ষান্ত।
সময় তোমার আছে কি পথ?
শুনবে কিছু গল্প আরো
আমার কথা কেউ শোনেনা
তুমি শুনতে পারো?
শুনতে যদি পারো তুমি
মনের কথা বলি,
জীহ্বাহীন মানুষ গুলোর
সত্তা খুঁজে চলি।
এখন আমরা সবাই আপন
আগে ছিলাম পর,
নীলাম্বরী কথার দেশে
বাঁধবো না হয় ঘর।