মা কেবল জন্মদাত্রীই নই
মা হচ্ছেন পরম মমতাময়
সর্ব্বোচ্চ নিরাপত্তার প্রতিক,
সজীব অস্তিত্ব ও নিরাপদ আশ্রয়।
মা কেবল প্রথম শিক্ষকই নই
মা হচ্ছেন বহুমুখি পাঠশালা,
মাকে বলতে পারি একজন গবেষক,
একজন শিক্ষাবিদ, একজন দাশর্নিক,
যিনি তার সন্তানের জন্য ধর্মতত্ব,
সামাজিক মূল্যবোধ সহ সার্বিক
শিক্ষাচর্চার বাতিঘর।
মা কেবল একজন সেবিকাই নই
মা একজন সর্ব্বোভিজ্ঞ চিকিৎসক,
কখনো বা মা গোটা একটি চিকিৎসালয়
যেখানে তার সন্তানের পরম সেবা ও
সুস্থ্যতা দানের প্রতিশ্রুতিশীল প্রতিষ্ঠান।
মা কেবল রুপকথা গল্পের পাঠকই নই
মাকে বলতে পারি একটি কবিতা
একটি গল্প,একটি নাটক কিংবা
উপন্যাসের কেন্দ্রাংশ চরিত্র,
এসবের বাইরেও মা একজন
বাস্তববাদী বহুমাত্রিক সাহিত্যিক,
মা পুরো একটি জীবন সমগ্র রচয়িতা,
যে রচনাশৈলির প্রতিটি অক্ষরে অক্ষরে
তিনি রচনা করে যান তার সন্তানের
জন্য সুনিঁপুন মঙ্গলবার্তা।
মা কেবল একজন হিসাব রক্ষক কিংবা
দক্ষ ব্যাবস্থাপকই নন,
মা পুরো একটি ব্যাংক তার সমস্ত
সঞ্চয়, তার মুলধন ও হিসাব নিকাস
কেবল তার সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ
গড়ার জন্যই বিনিয়োগ করেন।
মা কেবল একজন উপদেষ্টাই নই
মা একজন পৃথীবির সেরা
মোটিভেশানাল স্পিকার।
তার কথার প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে
লুকিয়ে থাকে উৎসাহের অপার উদ্দিপন।
মা শুধু নিজেই একজন আদর্শবান নয়
মা পুরো একটি আদর্শের কারখানা,
যেখানে তিনি সৃস্টি করেন আদর্শ,
লালন করেন মনুষ্যত্ববোধের উদার বাগান
যেটি তার সন্তানকে মন ও মননে আর্দশবান
মানুষ তৈরির জন্য বদ্ধপরিকর।
মা কখনো একজন সৈনিক
কখনো একজন সেনাপতি
কখনো একজন দক্ষ নাবিক
সন্তানকে রক্ষা করার রক্ষাকবচ
প্রদানকারী ও অদম্য সাহসী,
সন্তানের প্রশ্নে আপোষহীন সংগ্রামী।
মা কেবল জগতের একটি নেয়ামতই নই
মা তার সন্তানের জন্য নিজেই একটি জগত।
মা হচ্ছেন মায়ার মধ্যে মায়া,
সৃস্টির এক অপার বিষ্ময়
মা মানে তো প্রকৃতি,
চির সবুজ চির সহজ
সরলতায় উদারতায় আকাশের মতো,
বৃষ্টির মতো,রোদ্রের মতো।
দির্ঘশ্বাস শুষে নেওয়া বৃক্ষের মতো!
মা তো সৌরমন্ডলের সব চাইতে আকর্ষিক,
কণা বিশ্লেষকের সমিকরন,
মাকে বলতে পারি বিজ্ঞান কিংবা গণিত
ন্যানো মেডিসিন কিংবা টেলিপ্যাথির মতো
জটিল বিষয়ের সরল পাঠ,
স্নেহ স্পন্দিত জীবনের মধ্যে আরেকটা জীবন,
আদরে আপ্লুত জগতের মধ্যে আরেকটা জগত।
মা মানে সমস্ততা,স্বর্গের মাঝে আরেকটা স্বর্গ।
মহাবিশ্বের সেরা প্রতিদান! মা!