খাদ মিশ্রিত কলঙ্ক হারায়ে
সোনা খাঁটি হতে চায়,
অহর্নিশি অম্লত্বের অগ্নিদহনে
সদায় নিজেরে পোড়ায়।
নিখাদ সোনার আত্মম্ভরিতায়
চিকচিক করে সেই দেহ;
আহ কি নিরেট! কলঙ্ক নাই-
ভুল ধরিতে পারে না কেহ।
মনের মাধুরী মিশিয়ে গড়ানো অলঙ্কার,
বানায় স্বর্ণকার;
শোভামাল্য পরিধান করে বধূ,
দেখতে কি অপরূপ তার।
একি হায়! বিস্মিত স্বর্ণকার!
ইচ্ছামতো বাঁকে না রূপ;
মানে-না বাড়াবাড়ি,
ভাঙিলেও মচকে না; থাকে চুপ।
দক্ষ স্বর্ণকার-সৌখিন বধূ জানে,
নিরেট স্বর্ণ, খুব দামি;
কিন্তু এযে অপয়া, কাজে আসেনা,
যতই হোক সে নামি।
মানিতে বাধ্য, কারও নেই সাধ্য
নিখাদ সোনায় গড়া;
কারুকার্য মণ্ডিত অলঙ্কার
গায়ে জড়িয়ে দিয়েছে ত্বরা।
হেসে কয় স্বর্ণকার-
নিখাদ সোনায় গড়েনা অলঙ্কার;
কলঙ্কে মিশায়ে খাঁটি,
ভাল-মন্দের পরিমিত সমাহার।
গড়ে উঠে শৈল্পিক অবয়ব,
চারিদিক ছড়ায় সৌরভ;
সমাজ-সংসার সব তার-
উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায় গৌরব।