ছোট্ট দুখি বিড়াল-ছানা
ফুটপাতে কাঁদে;
ম্যাও-ম্যাও করে সে
একটু বাদ-বাদে।
লাথি-গুঁতো খেয়েই তার
জীবন যায়-যায়;
আদর করে কোলে নিবে
এমন কেহ নাই।
মা-বাবা কোথায় থাকে
কোথায় সে ঘর ?
গৃহস্থের তাড়া খেয়ে সে
সব করেছে পর।
অতিকষ্টে দিন কাটে তার
কেও দেয়না খেতে;
দ্বারে-দ্বারে ঘুরে সেথায়
একমুঠো ভাত পেতে।
বন্য-দুষ্ট কুকুর বিড়াল
তাকে কামড়ে ধরে;
অনাথের কপাল পোড়া
এভাবেই কি মরে?
দুষ্টু-ছেলে লাঠি হাতে
মেরেছে কত ঘা;
ব্যথায় কাঁদে পুষি-ছানা
ভেঙে দিয়েছে পা।
খেলতে গিয়ে খোকন-সোনা
বাড়ীর কোণায় দেখে;
ছোট্ট একটি বিড়াল-ছানা
গায়ে কাদা মেখে।
বিড়াল-ছানা নরম সুরে
মিউ-মিউ ডাকে;
খোকন-সোনা আদর করে
তোলে নেয় তাকে।
চুপটি করে বাসায় নিয়ে
কাদা ধুয়ে মুছে;
সেবা দিয়ে খাবার দিয়ে
ছানার দুঃখ ঘোঁচে।
আদর করে নামটি রাখে
বিড়াল ছানা রিনি;
আগেরটি নাম টিনি ছিল
তার আগেরটি মিনি।