তুমি আমার কাব্য-কলা,
পদ ও পঙক্তির ছন্দের মালা;
পর্বে সাজানো ফুলের বালা-
অন্ত-মিলের ডালা গো পূজার প্রসাদ থালা।
প্রেমের কাব্যপালা গো পিরিতের নাগর-দোলা।
কণ্ঠে তোমার বচন ঝরে,
ললিত সুরে উথলিয়ে পড়ে;
কোকিল কণ্ঠীর মধুর সুরে-
প্রাণটা আমার হরে গো প্রাণটা আমার হরে।
তুমি আমার রাধা গো আমি কৃষ্ণ-কালা ||
তোমার ঠোঁটে হাসি ফুটে,
গোলাপ ফুলের পাপড়ি ঠোঁটে;
চাঁদ মুখটি ভেসে উঠে-
দেখলে হৃদয় ছুটে গো দেখলে হৃদয় ছুটে।
তুমি আমার আন্ধার রাতের কৃষ্ণলীলা খেলা ||
আড়-নয়নে দৃষ্টির বাঁকে
পর্দা-ঘেরা জানলার ফাঁকে;
লজ্জায় রাঙা একটু দেখে-
শরম গায়ে মেখে গো লজ্জায় মুখ ঢেকে।
তুমি আমার পূর্ণিমার চাঁদ, প্রেম-পিরিতের মেলা ||