লাল শাড়িতে কাজলা মেয়ে
আলতা মেখে পায়
ঠোঁটে মাখা মিষ্টি হাসি
ঘাসফুল দিয়ে মাথায়;
ও ঠমকে-ঠমকে যায়
ও-যে গায়েরই মেলায়।
হাতে পড়া কাঁচের চুড়ি
রিনি-ঝিনি বাজে;
বোশেখ যেন মিশে গেছে
পল্লী-বালার সাজে।
লাল ফিতেতে মাথার বেণী
শিমুল ফুলের মত
কাল-কেশে ঢেউ খেলে যায়
উদাস বায়ু যত;
কাজলা মেয়ে নাচন নাচে
কাল-বোশেখে তত।
গর্জে না যা বর্ষে তত,
রূপের ঝিলিক ধাঁধায়
চোখ পড়ে যায় গগন জোড়া
নৈসর্গিক বাঁধায়।
বেলা শেষে মেলা ভাঙে
কাজলা মেয়ে ফিরে
মোয়া-মুড়কি গামছায় বেঁধে
মানুষের ভিড়ে;
টিপখানা তার সূর্যরে মত
ললাট নিছে ঘিরে।
ফিরছে খুশি মন ভরিয়ে
কাজলা মেয়ে পথে
কাল-বোশেখের ঘূর্ণি ঘুরে
তারই সাথে সাথে।