আঁকা-বাঁকা সর্প-তুল্য চলে বংশী নদী
আমার বাড়ীর পাশদিয়ে বইছে নিরবধি!
ছয়মাস শুকনো থাকে, ছয়মাস পানি;
গভীরতা নাই তার পাশ একটু খানি!
বর্ষাকালে পানিতে কানায়-কানায় পূর্ণ
নদীর বাঁকে দহের পাড়ে সৃষ্ট নাশা ঘূর্ণ;
ভয়ঙ্কর রূপলাভি দহের গভীরতা-
গরু-মহিষ ডুবে কত নৌকা ডুবে তথা!
মৎস্যকুলে সাড়া জাগে আনন্দে নাচে-
বংশী নদীর বাঁকে দহে সারাবছর বাঁচে;
কার্তৃ-মাসে পানি টানে মাছ পালায় কই
মাছ শিকারে পাড় বাসী উতলা যে হই!
পৌষ-মাঘে বুক চিরে ফসল ফলে কত
নদী নয় দেখায় যেন মৃত সাপের মতো;
নিথর হয়ে পড়ে থাকে বলি বংশী খাল
রাজকন্যার প্রণয়-ভঙ্গ একি করুণ হাল!
বংশী নদীর জন্ম, ঝিনাই নদীর শাখা-
উৎসমুখে দাঁড়ালে পাবে বাড়ীর দেখা;
বংশী নদী আমার সাথী, ভালবাসি তারে
জন্ম নিছি বংশী-কূলে, বাড়ী বংশী পারে।