সাঁঝের বেলা আইসো বন্ধু
আমার বাড়ীর ঘাটে,
রাখালিয়া গরু ছড়ায়
নয়থোবা সেই মাঠে।
মস্ত বড় বকুল গাছ
আছে মাঠের পাশে,
দুজন মিলে গল্প করব
বকুল তলায় বসে।
গাছের ডালে নানান জাতের
পাখি থাকবে বসি,
একে অন্যে বলবে তারা
এখন বন্ধু আসি।
সূর্যি মামা থাকবে সেজে
রক্ত বর্ণ মেখে,
সেই সাঁঝ দেখব দুজন
পাতার ফাঁকে ফাঁকে।
রাখালিয়া সুর থামাবে
ফিরবে আপন ঘরে,
আবার সে সুর হারিয়ে যায়!
অন্ধকারের ঝড়ে।
রাতের পাখি ডানা ঝাপ্টে
বসবে গাছের ডালে,
নাচবে, গায়বে ইচ্ছে মত
ফিরবে হেসে খেলে।
ডাহুক মেয়ে পাতবে আসর
নিরিবিলি পরিবেশ,
আপন মনে গায়বে সে গান
নাইকো ভয়ের লেশ।
অজ্ঞাত সব ফুল ফুটবে
মাঠের ধারে বনে,
মনটা তখন ভরে উঠবে
হাজার ফুলের গ্রাণে।
সন্ধে হাওয়া বয়ে আনবে
নিস্তবধতার ডাক,
ভাসবে কত প্রাণি শোরগোল
সাথে শিয়ালের হাক।
গাছের পাতাও ঘুমের ঘোরে
চুপটি হয়ে যাবে,
সেই সাথে দিনের আলো
নতুন জগত পাবে।
সুর্যটাও জানিয়ে দিবে
বিদায়ী সম্ভাষণ,
কৃষ্ণতাকে এই পৃথিবি
করে নিবে বরণ।
হঠাত করেই জোনাকিরা
বলবে জ্বেলে আলো,
গল্প তোদের অনেক হল
এবার ঘরে চলো।
রচনাঃ ২৯/০৭/২০১৩ ইং