নারী তুমি পবিত্র,
পবিত্র তোমার উদর।
যুগে যুগে তুমি, শুধুই তুমি
গড়েছ কত সমাজ, দেশ, জাতি।
কত মহাপুরুষ রক্ত, মাংস চুষে
লালিত হয়েছে তোমার গর্ভে।
হেসে, খেলে বড় হেয়েছে
তোমার হাতে,
চুপটি মেরে নিশ্চিন্ত মনে
গভীর নিদ্রায় তলিয়ে গিয়েছে তোমার উদরে।
কালিমা লিপ্ত করোনা
তোমার সেই গর্ভ, হাত, উদর;
তবে কালিমা লিপ্ত হবে সমাজ,
দেশ, সমগ্র জাতি।
তোমার স্পর্শে কত বীরপুরুষ
পরিণত হয়েছে কাপুরুষে।

তোমার আঁচল, সে এক স্বর্গ;
তাকে কলঙ্কিত করো না;
আর কলঙ্কিত করো না তোমাকে।

কলঙ্ক তোমার জন্য নহে,
কারন তুমি মা, তুমি বোন,
তুমি কলঙ্কমুক্ত পবিত্র মন।
এ তো শুধু সেই অভাগার জন্যই
যে জানে না কি করে নারীর
মর্যাদা দিতে হয়।

তুমি-তো ঘরের ঘরণী;
সেখানেই তোমাকে ভাল মানায়।

দূর্ভোগ তো তাদের, যারা
নারী জাগরণের নামে তোমায় ঠেলে দেয়
সেই বেহায়াপনার রাস্তায়।
ওরা নির্বোধ!
জানেনা বাঘিনীকে
খাঁচায় পুড়েই দেখতে হয়,
বাহিরে বের কর যায় না।
পান্না, হীরা, মণি, মুক্তার ঠাঁই
লকারেই হয়;
যেখানে সেখানে ফেলে রাখা যায় না।

তাই বলে বেহায়াপনা তো,
তোমার শোভা পায় না।
তুমি কোন পণ্য নও,
তুমি জাতির ধারক, যে কিনা
বয়ে বেড়ায় সমগ্র জাতির কর্ণধারকে।

কপাল তো ওদের পোড়া, যারা
তোমায় পণ্যের মত ব্যবহার করে,
তোমায় অর্ধ উলঙ্গ করে
ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রচার করে
পৃথিবী জুড়ে।
আর তুমিও
গর্ভ করে বলে বেড়াও!
ছি!
এ তো তোমার অস্তিত্বের উপর
এক বিরাট আঘাত, যা তোমাকেই
প্রতিহত করতে হবে।
আর যদি তা- না পার, তবে
জেনে রেখো, ধিক! শত ধিক!!
তোমার সেই কালিমা লিপ্ত গায়ে।

রচনাঃ  ২৪/০৯/২০১৪ ইং