জমেছে চিত্তাকাশে
কালো মেঘের ঘন চাঁদা,
এখনি আসবে নেমে
অঝর ধারায়
মেখে দিবে কাঁদা।
কেন হঠাৎ বিজলীর মত
এসে মনভবে,
দূর করিলে আঁধার কালো
যদি এমন-ই চলে যাবে।
আঁধার ঘোরে ভাল-ই ছিলাম
না দেখিতাম সুখ,
দূঃখ পাওয়া পরের কথা
দেখি-ই নি তার মুখ।
কিন্তু কেন ভাসিয়ে দিলে
অচেনা সাগরে?
সুখের আশে মনের চিন্তা
কেন দিলে বিগড়ে?
কখনো তো পেতে চাইনি সুখ,
তবে আসল কেন সীমাহীন এ দুঃখ!
পালিয়ে গেল সকল হাসি;
খুশি! সেতো গলায় ফাঁসি।
যদিও বা কখনো পেয়েছি রুদ্র-ছায়া;
আজ তাও নেই,
আছে শুধু কষ্টের কায়া।
ভাবনা গুলো চলে গেল
দিয়ে আমায় ফাঁকি,
নেই কেহ পুঁছিব যারে
পরিত্রাণ মিলিবে নাকি।
ঘন থেকেও ঘন মেঘ,
দুঃখ ছায়ার বেগ
কাটবে কি এই মেঘ-
নাকি থেমে যাবে
জীবনের বেগ?
কাকে দুষিব আমি?
কেন এই পরিনতি?
এ কেমন সুখ?
কেমন এই প্রীতি?
সপি সদায় সুখে থেক তুমি;
দুঃখ যেন না করে পরশ,
স্মর না যেন আজকের দিনঃ
যা নিতান্ত-ই নিরস।
তবে ভাবি শুধু
এ কষ্টের জন্য-ই কি
দু-জনের প্রতিক্ষা ছিল?
একি নিয়তির ছলনা!
না-কি এটাই ছিল
আমার পাওনা!!!
রচনাঃ ২৯/০৮/২০১৩ ইং