দূর বহুদূর ঘুরে
বহুদিন বহু আলোকবর্ষ পর
ঘোরমগ্ন গোধূলিবেলায় দেখি
হটাৎ অনেক আলোকচ্ছটা ।
বজ্রের শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়লে
কালীগঙ্গা বন্দর হয়ে
আমার অসমতল বুকের জমিনে।
আমি দেখলাম আলোক নয়
আলোর গোলক নয়
সৌরজগৎ ফুটো করে আসা
অন্য কোন গ্রহের ইন্দ্রজালে আবিষ্ঠ
পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ আর ঘর্ষণে প্রজ্জ্বলিত
দূর্লভ কোন বস্তু নয়।
আমি মোহাচ্ছন্ন হয়ে অপলক তাকিয়ে দেখলাম
কোন এক অস্পষ্ট মানবীর ছায়া।
মানবী।
মায়াবী আলোর ইন্দ্রজাল সরে গেলে
আমি ফিরে পেলাম সম্বিৎ। আমার চোখ
বরাবরই অন্ধকার শোষণ করা এক পার্থিব যন্ত্র
দেখি কোন সে মানবী অশরীরী
আমাকে জাগিয়ে দিল অদৃশ্য দূরাগত
রশ্মির তেজষ্ক্রিয় ইশারায়।
আর আমি মুহূর্তেই হয়ে ওঠি অন্য এক আমি
চঞ্চল অথচ গম্ভীর
যেমন অন্ধকারে আলোর উন্মেষ
যেমন শুষ্কপ্রায় নদীর বুক চিরে বয়ে চলা জলের প্রস্রবণ।
দূর বহুদূর ঘুরে
বহুদিন বহু আলোকবর্ষ পর
ঘোরমগ্ন গোধূলিবেলায় দেখি
প্রেম আর প্রেরনার শক্তি নিয়ে
আছড়ে পড়লে তুমি। তুমি।
সেই থেকে আমার চারপাশ কেবলই তুমি
সেই থেকে আমি নিজেই কেবল তুমি
সেই থেকে এ পৃথিবী কেবলই তুমি
আলো তুমি
আলেয়া তুমি
সন্ধ্যার আকাশ তুমি
শিশির সিক্ত ঘাসের স্বেদে জ্বলে ওঠা তুমি
আমার অতল আকাংখা গহবর তলে তুমি
সপ্তর্ষিমণ্ডলে বসে থাকা তারকারাজি তুমি
সর্বোপরি তুমি মানেই আমার স্বদেশ শোভিত উদ্যান পূণ্যভূমি।
তুমি চেন্নাই
চৈতন্যের নিরামিষ ভোজী প্রাণী
মধ্য প্রদেশ উৎসারিত ইন্দোর প্রগলভ।
আমি
আমি তোমাকে আরাধ্য করি
আমি তোমাকে কবিতা বলে জ্ঞান করি
আমার সকল যাত্রায় অভিযাত্রায়
আমার সকল বর্জনে অর্জনে
আমার সকল প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তিতে
আমার সকল অন্ধ আবেগে মথিত হৃদয় কোটরে
তুমি। তুমি । তুমি। তুমি । তুমি