একদিন আমি ঠিকই চলে যাব তোমাকে ফেলে
পৃথিবী নামক ইন্দ্রজাল বেষ্টিত
মায়বী জগৎ থেকে আলাদা হয়ে
অন্তহীনতার দিকে
সেদিন আমার চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাবে
যে চোখে ছিল সূর্যের অমিত তেজে ভরা
সীমাহীন আগুনের বিচ্ছুরণ
সেদিন আমার রক্তমাংশময় এ শরীর
নেতিয়ে পড়বে মাটিতে
যৌবনের উন্মদনায় যে শরীরে ছিলো
কল্লোলিত সমুদ্রের গর্জন
আমার মৃতদেহ তোমাকে ঠিকই অতিক্রম করবে একদিন
সেদিন তোমার চোখের সরোবর থেকে
গড়িয়ে পড়বেনা একরত্তি আর্তির জল
কেননা তুমিই বলেছিলে
তোমার অক্ষিকোটরে জলের অস্তিত্ব নেই
শুকিয়ে গেছে শতবর্ষ আগে
মানুষের শঠতার ঘৃনিত আক্রোসে
আমি ভালোবাসার ঘনিষ্ট সমারোহ থেকে
কিছু জল তোমার চোখের সরোবরে প্রবাহিত করতে চেয়েছিলাম
পারিনি। এ আমার এক ধরনের অক্ষমতা

আমি ঠিকই চলে যাব একদিন
আন্দোলিত বাতাসের অস্থিরতাকে অতিক্রম করে
রূপ রস কিংবা কামনার শিখায়
যে আমি প্রজ্বলিত হতাম রাতের নির্জন উদ্যানে
ধীরে ধীরে নিভে যাবে আমার ভেতর চন্দ্রিমার দহন
তোমার চোখ থেকে জল নির্গত না হলেও
তুমি কিছুটা ভারাক্রান্ত হয়ে
আমার মৃতদেহ বহন করে নিয়ে যাবে প্রান্তসীমায়
তারপর রেখে দেবে মাটির উপর শয়নের ভঙ্গি করে