দু চারটে দিন হয়তো মায়ের মুছবি চোখের জল,
একাকী জননী সারাটা জীবন কি নিয়ে বাঁচবে বল?
কি গ্যারান্টি আন্দোলনে ন্যায় বিচার তুই পাবি?
চলে গেল যার নাড়ি ছেড়া ধন তাকে কি জবাব দিবি?
সঠিক ভাবে বিচার হলে হয়তো হবে ফাঁসি,
আরো কিছু মার কোল খালি হবে অশ্রুতে যাবে ভাসি!
এমনি ভাবে আর কত মার হাসি তোরা কেড়ে নিবি?
যে হারালো তার পরান পাখি তাকে কি জবাব দিবি?
আর যদি হয় প্রভাবিত তবে সকলে মুক্তি পাবে,
নির্দোষ যারা তাঁদের ধরে নির্মম সাজা দেবে!
আবারও ওরা হাজারো মায়ের কোল খালি করে দেবে!
দিনে দিনে ওরা প্রশ্রয় পেয়ে আরও অপরাধী হবে!
প্রতিবাদী প্রাণ কেড়ে নিয়ে তুই নিজেকে ভাবিস বীর?
তোর বুকে এসে বিধে যাবে ওরে তোর ছুড়ে দেওয়া তির!
তিলে তিলে সব শেষ করে দিয়ে নিজেও তো শেষ হবি,
কেড়ে নিলি যার হৃদ স্পন্দন তাকে কি শান্তনা দিবি?
সামান্য সুখ খুঁজতে গিয়ে করে ফেলে বড় ক্ষতি,
রসাতলে গেছে শান্তি এভাবে পায়নি তো কোন জাতি!
লালসায় লোভে এমনি ভাবে আর কত প্রাণ নিবি?
সুখের আশায় রক্ত ঝরিয়ে সুখ তুই খুঁজে পাবি?
ছুড়ে ফেলে দেবে ময়লার মতো তোকে করে ব্যবহার,
নেতা নিয়ে নয় দেশ নিয়ে ভাব ফিরে আয় এই বার!
সন্ত্রাসবাদী হয়ে ওরে তুই কি আশা করিস বল?
ওরে নরাধম তোর মার ও তো ঝরবে চোখের জল!
হাতে হাত রেখে কাধে কাধ রেখে একত্রে পথে চলে,
কি ক্ষতি তোর নম্র হতে যদি তাতে সুখ মেলে?
অন্যকে মেরে ওরে নরপশু কদিন বাঁচবি বল?
আজ না হলে কাল বা পরশু ফুরাবে দেহের বল!
বন্ধুপরায়ন আচরণ তুই অতিদ্রুত বশ কর,
দেখবি অশেষ শান্তিতে তোর ভরে যাবে অন্তর!
বাহবা পেতে পশুর আদেশে সরলের প্রাণ নিবি?
এই কালে গেলি পার পেয়ে তুই পরপারে পার পাবি?