আত্মাটাকে তৃপ্তি দিতে সত্বা বেজায় ব্যস্ত,
জীবনের উৎকর্ষ সাধন আরাধনায় ন্যস্ত।
ক্ষুদ্রতম প্রশান্তিময় পরশ করে সন্ধান,
কাংখিত সে সুখের ক্ষণে বেদনারা অম্লান।
সব পেয়েও সত্ত্বা জুড়ে ব্যপ্তি অসন্তুষ্টি,
বৃহৎ কাঁদে সুখে হাসে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী!
ভ্রম্মান্ড-ময় অশ্রু ঝরে শান্তি কি বিলুপ্ত?
বন্দীশালা হতে মানুষ কবে হবে মুক্ত?
চতুর্দিকে ছুটন্ত লোক অনিচ্ছায় পথভ্রষ্ট,
আপন জীবন বিলায় কেহ সয়েও হাজার কষ্ট!
দেহে প্রানে সৃষ্ট বিবাদ বিবর্ণ বিরক্তি,
মিষ্টি বুলি মুখে থেকেও অন্দরে কটুক্তি!
সত্ত্বা থাকুক সুখে, পুড়ুক ত্রিভুবন অনলে,
পশুত্বকেই দেখছি শুধু মানুষের আদলে!
বিন্দুমাত্র সুখের আশায় মহাবিশ্ব উত্তাল,
হঠাৎ করেই হাসি ফুরায় কষ্ট থাকে সম্বল!
সব পেয়েছে যে জন সে ও নয় আজ সন্তুষ্ট,
অধিক পাবার উচ্চাকাংখায় পাপে উপবিষ্ট!
রুদ্ধশ্বাসে পরপারে যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ,
তবু সত্ত্বা সুখী হবেই প্রচেষ্টায় সচেষ্ট।