খয়রাতিকে না দিয়ে তুই খেলি ত্রাণের চাল,
রডের বদলে বাঁশ দিয়েছিস ধরেছে ফাঁটল!
মিনারেলের নামে খাওয়াস নদীর ঘোলা জল,
তুলে নিয়ে পালাক্রমে রেপ করে কতল!
সুযোগ বুঝে হাত পা ধরে করিস দল বদল,
ঋণ দিয়ে তার খুলে নিলি ভাঙা ঘরের চাল!
এতিমের ধন লুটে নিলি চোখে তাদের জল,
নিজের ঘরে গুদাম করলি শীতার্তের কম্বল!
ওরা কাঁদে জেলে বসে তুই বাজাস বগল,
ছটফটিয়ে কাঁদে রোগী ভরা হসপিটাল!
মুচকি হেসে বাজি ধরিস ক্রিকেটে কোন দল,
আজকে পুরো নগর জুড়ে ব্যথার কোলাহল!
বারে বসে মেয়ে নিয়ে গিলিস এলকোহল,
ভার্সিটির ওই তাগড়া ছেলে ছিল কি চঞ্চল!
বাবা মায়ের নয়ন মনি শেষ বেলার সম্বল,
তার বুকেতেও ঠেকিয়ে দিলি বন্দুকেরই নল?
নামল পুরো দেশটা জুড়ে কান্নাকাটির ঢল,
দেশের সেবায় যে জন ছিল দৃঢ় অবিচল!
যার ভাসনে বাঙ্গালীদের বাড়ত মনোবল,
তাকেও মারলি পুরো জাতি ব্যথায় বিহ্বল!
ভাইয়ে ভাইয়ে লাগিয়ে দিলি সহিংস কোন্দল,
সবুজ শ্যামল দেশটা আমার ছিল সুশৃঙ্খল!
হৃদয় জুড়ে ছিল সবার আনন্দের কল্লোল,
তাজা রক্তে ভিজিয়ে দিলি জননীর আঁচল!
মহানন্দের ফাগুন বেলায় জ্বালালি অনল,
জাতি ছিল সাদা সিধা কি সহজ সরল!
তোদের থেকে কবে পাবে এ দেশটা সুফল?
সব হয়েছে শেষ তোদের আর কত লাগবে বল?