ও আমার নন্দিনী, কবে হবে সঙ্গিনী?
একা এই শয্যায়, তৃষিত অপেক্ষায়।
কাটেনা দিনক্ষণ, দেবে কি বিসর্জন?
তোমার ওই মনপ্রান? কল্পিত বন্ধন।
আজ এই বরষায়, দেহ প্রান তন্ময়,
অন্তরে হয়ে রয়, ভালোবাসা সঞ্চয়।
কল্পনার আবেশে, কি মধুর পরশে,
রাঙা তুমি লজ্জায়, কবে এই শয্যায়?
কেন কিছু বলছনা? বুঝেও কি বুঝছো না?
হৃদয়ের আয়নায়, ঐ মুখ ভেসে রয়।
তোমারই জন্য, হতে চাই বন্য,
করে যাই আরাধনা, তুমি তুমি কল্পনা।
ওই দূর পারাবার, সে তোমার মনিহার,
এ আমার সাধনায়, আত্মার আঙিনায়।
আসো না তুমি চলে, অন্তর যায় বলে,
নিবেদন সবিনয়, কিসে বলো সংশয়?
ও আমার প্রিয়তমা, কত আশা প্রানে জমা,
আবেগিয় তৃষ্ণায়, ক্লান্তি প্রাণময়!
বিপত্তি পিছনে ফেলে, এই বুঝি তুমি এলে,
ও আমার নন্দিনী, কবে হবে সঙ্গিনী?
পাখী হয়ে আসো উড়ে, বসো এই মন জুড়ে,
শূন্য বুকের ঘর, যেন ধূধূ বালুচর।
দখিনা বাতাস হয়ে, আসো প্রিয়া আসো বয়ে,
ঝিরি ঝিরি বরষায়, হৃদয়ের মোহনায়।
দেখাও ঐ চাঁদ মুখ, আনন্দে ভরো বুক,
এঁকে দাও আলপনা, ভুলে যাই যন্ত্রণা।
কই তুমি কত দূর? ধরো সূর সুমধুর,
সুন্দর এ সন্ধ্যায়, আজ এই শয্যায়।