কিছু কথা
আমার মতো অনুভূতিপ্রবণ মানুষের মনে প্রেম, যে অভ্যন্তরীণ অনুভূতি কখনো অসীম আনন্দ, কখনো বা গভীর বেদনা সৃষ্টি করে, তা কবিতার রূপে প্রকাশিত করলাম । কবিতার মাধ্যমে যাতে প্রেমের অন্তর্গত রহস্য অনুরাগ হতাশা , যন্ত্রণা এবং স্বপ্ন প্রকাশ পায় সে চেষ্টা করেছি । কবিতার এ যাত্রায় আমি খুঁজে পাই আত্মবিশ্বাস, কখনো হয় আমার নিজস্ব এক যন্ত্রণা বা অনুভূতির মুক্তি। প্রেমের কবিতা কেন লিখি? যখন শব্দগুলো থাকে তৃষ্ণায়, হাসিরা আলো হারায়, মনের মধ্যে কেউ যখন চুপচাপ গুছিয়ে যায় সেই পুরনো সুরে?তখন আমি প্রেমের কবিতা লিখি । যখন চোখে তার ছবিটি মুছে যায়, যখন মনে তার স্পর্শ ক্ষণিকের জন্য মনে পড়ে এবং আমি থাকি একাকী, অচেতন, ব্যথিত! যখন শব্দেরা খুঁজে পায় না সেই অক্ষর যা তার হাওয়ায় ছুঁয়ে যায় আমাকে, স্বপ্ন খায় এক ভালোবাসা, যা কখনো পূর্ণ হয়নি। আরো বলি কেন লিখি, যখন তোমার স্মৃতি কোনো ছন্দে আটকে যায়, স্তব্ধ হয়ে যায় সময়, কখনো মনে হয় তুমি কাছে, আবার শুধু ভাঙা প্রলয়ের শব্দ আসে। প্রেমের কবিতা লিখি, কারণ মনে হয়, কিছু একটা হারিয়ে গেছে, কিছু অজানা, যে তোমার ভেতর অন্তর্নিহিত, যা কখনো বললাম না! লিখি? কারণ প্রেম এমনই, অশ্রু, হাসি, তীব্র এক আকাঙ্ক্ষা, এটা কিছু একটা খুঁজে পাওয়ার ক্ষণ, অথবা এক নিঃশ্বাসে পৃথিবী ভাঙার অভ্যন্তরীণ যন্ত্রণা। আবার কষ্ট, একাকিত্ব, প্রেমের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য এবং অপ্রকাশিত ভালোবাসা এসবই কবিতায় প্রকাশ করি । কবিতা এমন একটি পথ, যার মাধ্যমে একক অনুভূতিগুলো প্রকাশ পায়, যা হয়তো সরাসরি বলা যায় না, কিন্তু কবিতায় তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রবাহিত হয়। এটি একটি আত্ম বিশ্লেষণ, যেখানে আমি নিজের অনুভূতির শূন্যতা এবং প্রেমের প্রতি নিরন্তর আকর্ষণ কে কবিতার রূপে প্রকাশ করতে পারি । কবিতার মাধ্যমেই প্রেম তার বিশ্বস্ততা এবং অপ্রকাশিত তীব্রতা খুঁজে পায়। কবিতায় আমি নিজেকে সমর্পণ করি, নিজেকে খুঁজি, নিজেকে বুঝি ।