আমি কখনো নিজেকে বাদশা ভাবি,
রাজপ্রাসাদে বসে, সিংহাসনে মজি,
হাজার স্বপ্নে ভরে ওঠে চোখের কোণ,
মোহময়তার রাজ্যে আমি এক চিরকালীন অমলিন।
আবার কখনো, কারাগারের কোষে, পালানোর আশা হারিয়ে, এক নিঃসঙ্গ বন্দির আবেগ,
অলস দেয়ালে নকশা আঁকি,যত্নে রেখে নিঃশব্দ আক্ষেপের দাগ।
নিজের মধ্যে হারিয়ে যাই,
কখনো মুক্ত আকাশ, কখনো বন্দী চাঁদ,
যতবার নিজেকে বুঝি, ততবার নিজেই ম্লান।
মনে মনে খুঁজে চলি সেই সোনালি সময়,
যেখানে বাদশাও আমি, বন্দীও আমি,
দুটো দিকেই আমি—তবু একি শূন্যতায়,
নিজের মোহময়তায় হারিয়ে যাই।
প্রতিটি দিন আমার মধ্যে নতুন এক যুদ্ধ চলে ,
শুধু একাই লড়ি, সুখ-দুঃখের মাঝে শান্তি খুঁজে চলি ।
যতবার নিজেকে খুঁজে পাই, ততবার আবার হারাই,
এক কোণে থাকা চাওয়ার আগুন, আরেক কোণে নিভে যাওয়া আশা,
অন্তরের গভীরে গুম হয় স্বপ্নগুলো, আর উন্মুক্ত হয়ে যায় সীমানাহীন দুঃখ,
এভাবেই প্রতিটি দিন ফিরে ফিরে আসে আমার মনে আমিত্বের অতীত।
নিজের মধ্যে হারিয়ে যাই,
অবিরাম, নিঃশব্দে, আলো-আধারের খেলায়,
যতবার নিজেকে খুঁজি, ততবার নিজের স্মৃতি ম্লান হয়ে যায়।
এই আছি আবার যেন এই নাই ।
আমার ভেতর আরেকটি আমি,
সে সরে যাচ্ছে, এক অজানা স্থানে,
অনুভব করি, মাঝে মাঝে
হৃদয়ের গহীনে আমি নিজেই পথ খুজি ।
মনের আকাশে ঘুরে বেড়ায় অসংখ্য রঙ,
কিন্তু কোন রঙেরই আর স্পষ্টতা নেই,
বিশ্বাসে ভাঙা, কষ্টে গড়া—
বাঁচতে বাঁচতে, নিজেকে ধীরে ধীরে মুছে ফেলি।
আবার ফিরে তাকাই, তবুও শূন্যতার মাঝেই,
কোথাও তো আমি ছিলাম, কোথাও তো ছিলাম,
তবে কোথায় হারালাম, কোথায় রেখেছিলাম নিজেকে,
জানতে জানতেই—তাকিয়ে দেখি, আমি নিজেই খুঁজে চলি...
নিজের মধ্যে হারিয়ে যাই,
তবুও, এই হারানোতে একটা অদৃশ্য শান্তি আছে,
অবিরাম খোঁজ, এক অচেনা নিজে,
নিজের ভেতরেই আবার নতুন জীবন শুরু হয়।