এই একাকী পানকৌড়ির সন্ধ্যাবেলার দিকে তাকিয়ে কতখানি আপসোস, কতখানি অভিমান ভেসে যায় বাতাসে
কতটুকু বিষণ্নতা খেলা করে প্রণয়ের এক একটি দীর্ঘশ্বাসে,
প্রতিদিন হাজারটা প্রশ্নের ঢেউ তুলে বুকের ভিতর,
তবুও বাঁচার একটু আকুতি কেবলি মরণপণ যুদ্ধ, কেবলি মরণপাখা।
সমুদ্রের এক একটি উচ্ছ্বাস যেন এক একটি নীরবতার কথা বলে
আবার এক একটি নীরবতা যেন এক একটি মন ভাঙার শব্দ যোগাড় করে,
তবুও মন চোখের, আর চোখ শুধু বিশ্বাসের খেয়াল আঁকে।
জানি আজো বুঝোনি তুমি, টুকরো টুকরো মেঘের গল্প
থমকে দাঁড়ানো রোজনামচা কিংবা আঁধারের বুকে জেগে উঠা বিশ্বাসহীনতা;
যেখানে এক একটি বিষাদ, এক এক রকমে বেয়নেটের মত তেড়ে আসে
উত্তাল পাতাল জলোচ্ছাসে মুহূর্তে স্বপ্ন ভেঙে চৌচির, নিরুত্তাপ দাউ দাউ হতাশা!
প্রতিনিয়ত ঘুণপোকার নিস্তার আয়োজন চলে
নিরুপায় দখল করে নেয় মেঘলা আকাশ,
তবুও আমি এ বুকের এপিটাফে সযত্নে সাজিয়ে নিই নির্বাক বর্ণমালা
সযত্নে আপন করে নিই প্রত্যাশার জলতরঙ্গ,
তবুও একটু পথচলা যেন মেঘের সাথে আড়াআড়ি, মেঘের সাথে ভালোবাসা।