আমি পথভোলা সেই রাতের কথা বলছি; মেঘবতী চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকা ষোড়শী মেয়েটির চোখের কোণের মিতব্যয়ী কাল্পনিক স্পর্শতা কিংবা নাগরিক রহস্য! কোটি জনতার ভীড়ে খোঁজে আনা তার এক একটি ইচ্ছা, এক একটি স্বপ্ন কিংবা পাহাড়ের বুক ছিঁড়ে এলিয়ে যাওয়া কাব্যিক বেদন। হাতে-মুখে-চোখে যখন স্বপ্নরা এক চিরকুটের কথা বলে তখন তার হৃদয়ে অনুশোচনারা হামাগুড়ি দেয়! ছুঁতে পারে না যেন হিমালয়ের শির, ছুঁতে পারে না যেন দিগন্ত রেখা; তবে প্রতিনিয়ত তাকে ছুঁয়ে যায় অভিমান আর ভাঙা টিনের চাল বেয়ে নেমে আসা শিশিরজল! সামনে তাকাতে পারে না যেন লোক সমাজের ভয়ে, পিছনে তাকাতে পারে না যেন পরিবারের ভারসাম্যহীনতায়; বামে যেন সমুদ্র, মহাসাগর আর ডানে যেন জীবনের সমস্ত রীতিনীতি! সব পেরিয়ে গেলেও মন পেরিয়ে যাওয়া যায় না। সমাজের রীতিনীতি, ভারসাম্যহীনতা নিগুঢ় কাল্পনিক স্মৃতিগুলো তাকে পোড়ায় আরো পুড়িয়ে তুলে। একাকীত্বে নিজের ভিতরে ঢুকে পড়ে আরো ভয় আরো যন্ত্রণা আরো নিপীড়িত শাসন! বিবর্ণমুখোর এ পরিবেশের কোল বেয়ে নেমে আসা কষ্টার্জিত যাতনার শহরে শুধু ঘুমিয়ে থাকে জমাটবদ্ধ স্বপ্ন আর বেখেয়ালী রাত্রির অপেক্ষিত ক্যানভাস!
কবিতাটি ১৮৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ২৬/০৪/২০২৩, ১৮:৪৪ মি: