ইচ্ছেরা ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়, বুকের ক্ষত চিহ্নগুলো চৌচির হয় রোদে
পোড়া মনের ভিতর রাতারাতি ফুটপাতের ভীড় জমে!
চোখের পলকে অবচেতন মায়া, জিইয়ে উঠে কত অভিযোগ, অপবাদ আরও কত ক্লান্তিতা
স্মৃতির পাতায় এখনো দেখি নিশ্চল নিষ্ঠুরতা;
কিছু স্বপ্ন ছেয়ে আসে গোধূলি লগ্নে, কিছু বিশ্বাস জন্ম নেয় নোনাজলে,
তবুও কিছু আর্তনাদ খেলে যায় বিষণ্ণতার নগরে,
তবুও নিঃসঙ্গ একাকী আঁধার দুঃসাহসের প্রহর আঁকে!

অভিধান খুলে তাকিয়ে থাকি ধ্রুব তারায়, তাকিয়ে থাকি পাহাড়ের চূড়ায়
এক টুকরো মেঘ ছুঁয়ে যায় নীরবতায়, একটি শৈবাল জন্ম নেয় মায়ার পাহাড়ে;
শব্দগুলো ভেঙে মনের জার্নালে পলেস্তারের মত খসে খসে পড়ে,
কেউ দ্যাখে না, কেউ জানেনা কতখানি শিলা ভাঙা নির্জর ঢেউ বুকের ভিতর!

প্রতিদিন জোড়াতালি স্বপ্নগুলো মুছে যায় ধূম্র কুয়াশায়
নিঃশেষিত হয় অনেক যত্ন করে সাজানো চিরকুট,
বৃষ্টিস্নাত এই শহর ভিজে ভিজে কবে-ই যে হারিয়ে গেছে ইট, সিমেন্টের প্রলাপ
তবুও বাসমতী ভোর হলে স্বপ্ন দ্যাখি আবার জেগে উঠার, বেঁচে থাকার,
আর ভাবি সহস্র রাতের জলজ স্রোতে ভেজা এই দুচোখ
না হয় যেন অন্যের নিশুতি রাতের বাশির সুর!