বুকের করিডোরে যে মন একদিন ঠেলাগাড়ির মত কথা বলেছে
আর সমস্ত অভিমানকে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিজলে ভিজিয়ে দিয়েছে,
সেও বুঝে অপেক্ষার কাল প্রহর কত কঠিন
সেও জানে রুপালী সন্ধ্যায় গীটার হাতে নিয়ে বৃষ্টিস্নাত শহরের আকুতি করা গান!
যে স্বপ্ন একদিন ফুটাতে গিয়ে থমকে দাঁড়িয়েছিল মহাকাল
যেতে যেতে দূরগামী পথ অতঃপর সাগর,
সেও অবলোকন করতে পেরেছে নির্যাস শব্দ
চিরচেনা আকাশ কতখানি মায়াজালে ভাসে,
কতখানি রাত কেটে গেলে সংশোধন হয় জীবনের পরিণাম!
যে তরুণী একদিন নিদারুণ ব্যথায় ব্যথিত হয়ে খোঁজে নিয়েছে উচ্ছল নৈঃশব্দের রাত, মানবহীন ইস্টিশান
ধীরে ধীরে জলকুপির নিঝুম দ্বীপ
সেও বুঝে জীবনের অভিসার, আটকোরা ভালোবাসা
সেও জানে দুর্দিনের এ পথে কেউ আপন হয় না
কেউ নির্জনতায় কাউকে খোঁজতে আসে না!
আর আমিও জানি, সবাই ভালোবাসতে জানে
কেউ কাছে টানতে জানে না,
কেউ মনের দুই একটি কথা আপন ভেবে বলতে চায় না
সবাই কাছে এলে মন পোড়ায়, দূরে গেলে খবর রাখে না;
অতঃপর আমিও পৌষের রাতে গরম নেই জেনেও আগ্নেয়গিরিতে পুড়ি!