অনেকটা পেরিয়ে আজ আমি অতিথি পাখি
সহজে ঠাহর করতে পারি তোর নীরবতা,
তবুও খাঁচা ভেঙে উড়ে যাওয়া পাখিটার সমান্তরাল এঁকে
আমি লিখে দিতে পারি তোর না বলা কথা।
জানালার গ্রিল বেয়ে ভিজিয়ে দেওয়া বৃষ্টির কাছে সহজে বিকিয়ে দিই আমার অনন্ত ইচ্ছা
অথচ আমি অপেক্ষার রাজ্যে দাঁড়িয়ে থাকি পামির মালভূমির মত;
আঁধখানা চাঁদ পড়ে থাকে আমার শব্দের কুসুমে
নিদ্রা ভেঙে প্রস্ফুটিত জল ছুঁয়ে যায় আমার দৃষ্টিসীমা,
তবুও দু'হাতে খুঁজি ঐশ্বরিক কালিমা, তবুও তৃষ্ণাত্ব জলে লিখে দিই চন্দ্রমল্লিকা।
প্রতিদিন এক প্রলাপ জাগে হৃদয়ের কোণে, বিকেলের ছায়া মাড়িয়ে এলে
অন্ধকারের সাথে মাখামাখি করে দু'চোখ,
সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকে আমার পৌরাণিক মৌনতা
আর আমি প্রণয়ের প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তাকিয়ে থাকি,
নিশির বনে যদি ফুটে ফুল, তবে প্রতীক্ষা কেন পঞ্চদশীর আলোর ঝর্ণাধারায় আমিও পারি ফুটাতে ফুল!
অথচ স্বচ্ছ কাঁচের রোদ কথা বলে আমার দীর্ঘ অসুস্থতার সাথে, কুয়াশার মাদুরতার সাথে
অবিরাম তুষারপাত রাজপথের কালো পোস্টারে জাগিয়ে তোলে ধূলোপড়া পাতার তৈলচিত্র,
তবুও আমি অন্ধচোখে বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে বলি, একটু পরেই আসবে আমার আদুরে বাচ্চা!