(১)
কত রকমে সাজাই। কত রঙ প্রতিফলিত হয়। কিছুটা আবেগ বৃষ্টিতে ভিজে। কিছু অভিমান ঢেউ খেলে। পরিচর্যাহীন স্বপ্নের ঘরে এলোমেলো সংকোচ। খানিকটা আধাআধি মেঘের সাথে। একটা অসুখ প্রতিনিয়ত লেগে থাকে। তীক্ষ্ণ ফলার আচরণ। মাঝেমাঝে একশ ডিগ্রি জ্বরে বাঁচা মরার আকুতি। তবুও তোমার আশায় বিষণ্ণতার রাত কাটি।

(২)
তোমার একটা নাম দিই স্বপ্নের রাখালিনী। ইচ্ছের গতিতে স্বপ্নের উত্তরণে তুমি বেয়নেটের মত খেলা করতে জানো। আজকাল জানালা খোলে তাকিয়ে থাকি। কামিনী, জুঁই, গন্ধরাজের মেলা বসে আমার উঠোনে। পাপড়িগুলো বাতাসের সাথে আড়াআড়ি। যদি আমার পাশে তুমি থাকতে, যদি একটি ফুল আমাকেও দিতে, বলো ক্ষতি কি হত?

(৩)
মাতাল সমীকরণ চাঁদনির সাথে। সেখানেও উল্টো রতের স্রোত ভেসে আসে। পুনরায় বাড়াবাড়ি। তবুও মায়ার আঁচল বেয়ে অবহেলা! তবুও নিরুদ্দেশ শিউড়ে উঠা। প্রতিশ্রুতির মুখোশ কত বেদনা আঁকে! জোনাক পোকার দল কানে কানে কতকিছু বলে!

কই একবারও তো তুমি কিছু বলতে এলে না, একবারও তো একটু দ্যাখতে আসলে না!!