কাল সারারাত বৃষ্টির স্ফটিক ভাঙতে দেখছিলাম
দেখেছিলাম অলৌকিক জলকেলি বুকের স্পন্দনের সাথে বয়ে চলতে;
ভেবেছিলাম তুমিও বুঝি সেই বৃষ্টিস্নাত শহরে এখনো দাঁড়িয়ে আছো
এখনো অদ্ভুত রকমে হারিয়ে যাওয়া কোন এক প্রতীকের কথা নিরবিগ্নে ভাবছো
কিছু কথা বলার অপেক্ষায় অতিথি পাখি হয়ে কাউকে খুঁজে চলেছ!!

ক্ষণিকের জন্য আমিও হেরে গিয়েছিলাম আচ্ছন্ন অন্ধকারে, স্ফুটনাংক শহরে;
আমারও ইচ্ছে করেছিল সংকোচের দেয়াল ভেঙ্গে চুরমার করে দিই
স্মৃতির ক্যানভাসে জমানো অলিখিত দূরুত্ব মুছে দিই!

কেবলি অপেক্ষার পারদ উঠানামা করেছিল, কেবলি দীর্ঘশ্বাস পৌছে যেত শেষ প্রান্ত!
সারাটা বিকেলে নেমে আসতো শূন্যতার প্রহর;
অবলীলায় বয়ে চলা স্রোতস্বিনী নির্দ্বিধায় তুলে এনেছিল বিষাদের মেলা!

কেন জানি আমি আজ ভুলে যেতে পারি না, ভুলে যেতে পারি না এক একটি গল্পের পাতাও;
চিলেকোঠায় লুকানো হাসিগুলো এখনো আমায় থমকে দেয়
এখনো আমায় বলে যায় সৈরাচারী ইতিহাস!
তবুও যে আমাকে ভুলে যাওয়ার অভিনয় করতে হয় প্রতিনিয়ত,
তবুও যে নীরবতার মুখে একটু হাসি কুড়িয়ে আনতে হয়;
কারণ আমি যে আজ অন্যের আকাশে ঘুড়ি বেঁধে জ্বরের প্রলাপ টানি তোমার হৃদয়ের!