বিশ্বাস করো নিলাদ্রীতা, রজনীগন্ধা হাসনাহেনা আর পলাশ ফুলের মত গাঢ় ছিল আমার ভালোবাসা,
ফুলের রঙিন প্রতিটি পাঁপড়িতে আঁকা ছিল আমার স্বপ্ন।
আমি প্রতিবারে পাহাড় সমান ভালোবাসা নিয়ে দাঁড়াতাম তোমার আঙিনায়;
তুষার, তুষানল, জলোচ্ছাস, বন্যা কিছু চাইতাম না
কখন যে বৃষ্টিতে ভিজে তোলপাড় হয়ে যেতাম নিজেই জানতাম না!!
তোমার ঘোলাটে মিষ্টি চোখ, আর গোলাপি ঠোটের কার্ণিশে যতবার চেয়েছি ততবারই হয়েছে আমার অপমৃত্যু;
তোমার নির্লিপ্ত দু'চোখের দিকে তাকিয়ে আমি হারিয়ে ফেলতাম মুহূর্তের অস্তিত্ব।
কে জানতো তখন কতটা মৌনতা তোমাকে আর আমাকে ঘিরে ফেলতো,
কে জানতো তখন কতটা নিগূঢ় রহস্যের কিণারে আমরা সাঁতার কাটতাম,
বুঝে উঠতে পারিনি তখন তোমার গল্পের অন্তঃকরণ!
কিন্তু জানো নিলাদ্রীতা, সেদিন আমি মেঘ দেখিনি
দেখিনি তোমার হৃদয়ের সারমর্মের কেশভীতিতে জড়ানো ভালোবাসার গভীরতা;
শুধু অপলক দৃষ্টিতে মেঘবরণ কৃষ্ণ কালো আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম,
ঠিক তখনি পাহাড়ের বুক ছিড়ে কয়েক ফোঁটা সফেদ নোনাজলে বাড়িয়ে দিতো আমার শূন্যতা।
বিশ্বাস করো নিলাদ্রীতা, আবেগের মুখে কঠিন বাস্তবতা হলো "আমি তোমাকে ভুলতে পারবো না, আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না"।
অথচ ঠিকই তুমি রাঙা ধূলোয় শাড়ির আঁচল বেয়ে বেয়ে অধরাই রয়ে গেলে,
আর আমি সেই আগের মতই আছি...!!