একটি কবিতা লেখার প্রত্যাশায় জেগে থাকি দীর্ঘ রাত, সাথে একাকী গভীর আরাধনায় জেগে থাকে চাঁদ;
এমন জোনাক জ্বলা রাতে সহস্র-শতাব্দী নক্ষত্র মিটিমিটি হাতছানি দেয়,
খুব সস্তা দামে কিনে নেয় মনের সবটুকু উচ্ছ্বাস।
আর আমি কবিতায় তুলে নিই তাদের স্মৃতিচারণ, এক আকাশ মেঘমালা।
এক সময় এক সাগর নোনাজল বন্ধু ভেবে জড়িয়ে নেয়, আপন ভেবে দু'চোখে টর্নেডোর মত করে ভাসায়।
অথচ কোনদিন তুমি আমার সে কবিতার বন্ধু হতে আসলে না,
আপন ভেবে মনের ঘরে একটু জায়গা দিতে চাইলে না,
কখনো ইচ্ছেমত একটা গল্প শোনালে না!
জানো, তোমার এক একটি কথা এক এক রকমে সাজাই
এক এক রকমে বিরহের সুর দিই,
আর সেখান থেকে এক একটি বাক্য এক একটি গল্পের মত বুকে এসে বিঁধে!
ভেবেছি জোয়ার ভাটার মত তুমিও পরিবর্তন হও বুঝি
হাসির ছলে গন্ধরাজের সুবাস মুখে তুলে আনো,
মৌমাছির ছন্দে আর হৃদয়ের আনন্দে সব মুছে দিতো পারো তুমি;
অথচ আজ বুঝতে পেরেছি, কতটুকু ভালোবাসার ছলনায় তুমিও সাজাতে পারো এক আকাশ মেঘ,
যেখান থেকে শুধু বৃষ্টি_ই ঝরে না, মাঝেমাঝে উত্তাল পাতাল জলতরঙ্গে ভূমিকম্পের মত ঢেউ খেলে যায় বুকের ভিতর।
যার জন্য বুকের ভিতর দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর জ্বেলে রেখেছি হয় তো সে এ অবলাকে কখনো চিনতে পারেনি,
মুগ্ধতার একরাশ প্রণয়ে কিংবা মুঠোভরা গোলাপ, রজনীগন্ধা, কৃষ্ণচূড়ার দিকে তাকিয়ে আমার কথা ভেবে দ্যাখেনি;
আচ্ছা নিলাদ্রীতা মনে করে দ্যাখো তো, আমি কি কোনদিন তোমায় ভুলে থাকতে পেরেছি?
তোমার কথা ভেবে একটি কবিতার আশায় এই দীর্ঘ রাত জেগে থাকিনি?
জানি আজ তুমি আর এই আমাকে বিশ্বাস করবে না
আমার এ নিশুতি রাতের কবিতার বন্ধু হতে আসবে না,
মিছামিছি বলে আশা জাগাতে চাইবে না;
দ্যাখো নিলাদ্রীতা, এই হাসি এই সুখ চিরস্থায়ী নয়
চিরস্থায়ী নয় এক একটি প্রত্যাশাও!
না হয় এই হাসি এবং সুখ নামের ছলনার গল্পটি সমাপ্ত হলে-ই বুঝে নিও
আমিও কতটুকু চেয়েছি তোমায়, তোমার জন্য এ বুকে কত হাজার পেরেক মেরে রেখেছি,
নীরবতার শহরে কতটুকু আকুতি তোমার জন্য জমিয়ে রেখেছি!!