রাতের দ্বিপ্রহর ঢেকে যায় পৃথিবীর বুকে, দক্ষিনা হাওয়ায় কুণ্ঠিত অভিমান ভেসে চলে বহুদূর
স্বভাবগত পাখির মত আমিও কাকে যেন খুঁজে বেড়াচ্ছি খুব
কাকে যেন বাসন্তী ঘোমটা খোলে দেখার ইচ্ছে শেষ হয়নি,
কে যেন পরিচিত ক্ষেতের আলপথ ধরে বিপ্রতীপ স্বপ্ন নিয়ে চলে গেছে;
শুধু দিয়ে গেছে তানপুরার সুর, গিটারের ব্যঞ্জনা আর মেঘলা আকাশ!
পাহাড়িকা বুকের গহ্বর থেকে জলে ভেজা ভ্রু টুপটুপ স্রোতে ভিজিয়ে দেয় রাজপথ,
নীলিমার কোল ঘেঁষে সাতরঙ খেলা দেখায় আমার নমুনার উঠোনে;
হঠাৎ মনে পড়ে আক্ষেপের এপিটাফ, ফুলতোলা রুমাল!
সীমার মধ্যখানে তবুও রাখি এ ক্লেদের উচ্ছ্বাস
তবুও জমা রাখি জ্যোস্নার প্রলাপ!
সন্ধ্যের বুকে ঢলে পড়ে স্নিগ্ধ বিকেল
শপথের সিঁদুর ভেঙে পাল তুলে বিশ্বাসহীনতার অপঘাত
বেভুলা হাসিগুলো আজ শুধু মরীচিকার কাগজ!
চোখেল আড়াল ক্রমাগত পালা ভেঙে তুলে আনে হারিয়ে যাওয়া ক্লাইম্যাক্সের ভ্রুণ;
তবুও উড়িয়ে দিই নিশান, তবুও মুখে তুলি নির্ভরতার স্লোগান!
গোলটেবিলে সাজানো সবুজ খাম বারবার মনে করে দেয় তাঁর রাত জাগা শঙ্খচিল;
ব্যস্ততার জাবর কাটিয়ে, মরিচিকার মাতাল দীর্ঘশ্বাস জমিয়ে প্লাবিত করে গেছে বিনিদ্র রাতের দ্রোহের গান, নির্মম যাতনার জলে ভেজা মিশ্রণ;
সেই যেন দিয়ে গেছে নিঃসঙ্গতার ভুল সমীকরণ,
তবুও উতলা স্রোতের নদীতে তাকেই খুঁজে চলেছে মন!