সে এক অবর্ণনীয় রাত, ঘুমিয়ে পড়েছে অযুত জোনাকি, দূর্বাঘাসের উপরে হেটে চলা ডাহুক
চুপসে গেছে নক্ষত্রের গোপন কান্না, বিনোদিনী ইতিহাস;
আর আমি মনে করেছিলাম, ছাই রঙে হারিয়ে যাওয়া এক রাত্রির গল্প
উষ্ণ বাতাসে লাউ গাছের মত দোল খাওয়া এক বিকেলের কথা!
তখনো আবছা আলোয় জমে উঠেছে পৃথিবী,
ভালোবাসার শীতল প্রবাহ ভেঙে বাতাসের সাথে উড়ে বেড়াচ্ছিল জীবন নামের কালশিটে মেঘ,
আটপৌর আঁচলে দোল খাচ্ছে সহস্র বেদনার কালস্রোত!
অথচ প্রতীক এক বুক অভিমান আর এক সাগর বিষণ্নতা নিয়ে হেটে চলেছে অচেনা শহরের পথ ধরে, অজানা নিশুতি রাতকে সঙ্গী করে, অতীতের ঋণকে আত্মগোপন করে।।
সেদিন শুধু এই মন কাঁদেনি, আকাশ কেঁদেছে
বৃষ্টি পড়েনি, তবুও জলের বুকে গোসল করেছে;
বাতাস নীরবতা দিয়ে গেছে, পাঁজর ভাঙা কান্নায় বদলে গেছে কামুক দু'চোখ!
হে নারী! শুধু তোমার ভুল ঠিকানায় দুচোখ, মন আর যৌবনের প্রান্ত থেকে হারিয়ে গেছে, এক প্রতীকের জেগে উঠা স্বপ্ন, মুঠোমুঠো কোলাহল, স্নিগ্ধ ভালোবাসা;
টুকরো টুকরো হয়ে গেছে তরুণ্যের সজীবতা, পাললিক প্রাণ!
অথচ কি পেয়েছো তুমি কিছু দীনতা আর হীনতা ছাড়া?