এই তো আমাদের প্রথম হাতেখড়ি,
ময়ূরকন্ঠী শাড়ি পড়ে যখন এলোচুলে বসে আছো, তখন আমি তাকিয়েছিলাম তোমার কাজল কালো দুচোখের দিকে
পূর্ণিমারা দোল খায় তোমার সারা গাঁয়, হলুদ পাখির সুর বাজে তাও তোমার আঙিনায়;
তখন কিছুটা গোলাপ ফুলের পাপড়ি জায়গা নিয়েছিল আমার হাতের মুঠোয়
আলতো করে ছুঁয়ে দিতে রাঙা জবা হাসি নিয়ে এসেছিলে তুমি!
আর আমি স্বপ্নীল আসমানের নীলপাখি হয়ে তোমায় খেলা দেখাচ্ছিলাম
ঝিলের সরোজ হাসি তোমার জন্য নিয়ে এসেছিলাম;
আহা! কি মধুর বাতায়ন, কি মধুর গন্ধ মাখা পালক!
শুভ্র কাশফুলে প্রজাপতি উড়ে বেড়ায় অবেলায়
গোধূলির বুক ছিঁড়ে বহে চলে মহাকাল,
কিছু হাসি চমকে উঠে নিরুদ্দেশ!
ঘাসফুলে শিশিরের হিমেল পরশে বয়ে আসে নীরবতা
সোনালী আলোর গাঁয়ে খুশির ঢেউ খেলে যায় নিদারুণ,
আর আমি দু'একটা হৃদয়ের গল্প, অল্পসল্প কবিতা সাজিয়ে দিই তোমার করিডোরে!
অতঃপর... অতঃপর কেটে গেলো কত রাত, কত দিন, কত বছর
শূন্যতায় পড়ে আছে কত অভিমান, ভীষণ প্রত্যাশার স্বপ্নরা;
এক এক করে আঁধার ভেসে আসে আমার সমুদ্রতটে,
আর আমি আছড়ে পড়ি সমুদ্র জলে, হোঁচট খেয়ে পড়ি শুকনো মেঠোপথে,
বিষণ্ণতার জানালা খোলে নীরবতার পথ ছুঁয়ে এভাবে-ই বুঝি ইচ্ছে নদী বহে চলে কাল থেকে মহাকাল!!