বিদ্যুৎ ছিল না সেদিন,
প্রদীপের মিটিমিটি আলোয়
বসে বসে ঝিমুচ্ছিলেম আমি,
তুমি এলে মৃদু পায়ে হেটে!
তোমার নুপুর পায়ের মধুর পয়োধ্বনিতে
যেন প্রাণ ফিরে পায় আমার সলতের আলো,
নিমিষেই জ্বলজ্বল করে ওঠে।
আমার চারপাশ আলোকিত হয়।
কি অপরুপ তুমি!
আমি অবাক হই,
অবাক চোখে তাকিয়ে থাকি,
যেন অন্যমনস্ক এক আমি।
নিজেকেই হারিয়ে ফেলি,
খুঁজি, ফিরে পাই,
আবার হারিয়ে ফেলি।।
আবার খুঁজি,,,,,,
ছন্দে ছন্দে তোমার পায়ের নুপুর বাজে
সে শব্দে আমি তোমায় খুঁজে পাওয়ার
বৃথা চেষ্টার অভিনয় করি।
তোমার পায়ের ছাপে পা মিলিয়ে
তোমার পথেই হাঁটতে থাকি।
আনমনে তুমি পেছন ফিরে তাকালে,
আমি দ্বিধায় পরে যাই!
যেন সবই লুকোনোর বৃথা চেষ্টায় লিপ্ত হই।
তুমি তা দেখ, আর হাসো।
হেসে হেসে আমায় উপহাস করো
এ তুমি! কেমন তুমি?
আমি দেখতে থাকি তোমার হাসি,
নিমিষেই ভেসে যাই,
আর ভাবতে থাকি, চাইতে থাকি
যেন অনবরত!
তোমার হাসির ঝলকানিতেই ভাসি।
তুমি হাত বাড়ালে, আমার পাণে
ঝটিকার বেগে ধাক্কা লাগে
বুকের বাঁ পাশে,
আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়
দেখি এখনো মধ্যরাত!
শ্রান্ত হাওয়া বয়ে যায় মনের ক্যানভাসে।
অতঃপর! আমি ক্ষান্ত হই
আর মনে মনে বলি পরম চিত্তে!
হে প্রণয়িনী! তুমি এসো
আবার কোনো এক জ্যোৎস্নাময়ী রাতে।।